মূর্তি: নেত্রীর মূর্তির সঙ্গে নিশি ঘরামি। নিজস্ব চিত্র
গজলডোবার ১০ নম্বর কলোনি গ্রামের বাসিন্দা নিশি ঘরামি নদীর জলে ভেসে আসা কাঠ সংগ্রহ করে তা দিয়েই বেশ কিছু ভাস্কর্য নির্মাণ করে ফেলেছেন। কাঠের কারুকার্যের প্রদর্শনীতে ডাকও আসছে। জলপাইগুড়ি জেলার হস্তশিল্পের মেলার প্রতিনিধি দলের অন্যতম মুখও হয়ে উঠেছেন নিশিবাবু। তৈরি করেছেন তৃণমূল নেত্রীর মূর্তিও। কিন্তু দাম লক্ষাধিক টাকা। আর তাতেই ক্রেতা পাচ্ছেন না তিনি।
আকাশ ছোঁয়া দাম কেন, আর কেনই বা মুখ্যমন্ত্রীর মূর্তি গড়ার ভাবনা এল? নিশিবাবুর ব্যাখ্যা, “ মুখ্যমন্ত্রীর একার উদ্যোগেই গজলডোবা বদলে গিয়েছে, এতবড় পর্যটন হাব নির্মিত হয়েছে, সেই কারণে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই কাজ। মুখ্যমন্ত্রীর অবয়ব নির্মাণে টানা ৩ মাসের পরিশ্রম রয়েছে, তারপরে শেষ মুহূর্তের সূক্ষ্মতা আনতে আরও এক মাস চলে গিয়েছে, বেদীর ওপর থাকলেও পুরো মূর্তিটাই ঘোরানো যায়।” প্রতিদিনের মজুরি যোগ করলেই অঙ্কটা বড় হয়ে যায় বলেই জানান তিনি।
নিশিবাবুর একমাত্র ছেলে চাঁদমণি ঘরামি তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। ছেলে চাঁদমণির শিল্পকর্মে উৎসাহ থাকলেও চোখের দৃষ্টি ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে, প্রায় অন্ধত্বের দিকে পৌঁছে গিয়েছে চাঁদমণি তাই ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ জোটাতে এরকম আরও দামি শিল্পকর্ম নির্মাণ করে বিক্রি করতে চাইছেন নিশিবাবু।
নদীর ধারে মাছ ধরার ভঙ্গিমায় থাকা সারস কিংবা হরিণকে শিকার করার মুহূর্তে ক্ষিপ্র চিতাবাঘ দিয়ে এর আগেই টি টেবিল, ড্রেসিং টেবিলের মতো আসবাব নির্মাণ করে কলকাতার ধনী ক্রেতাদের মন পেয়েছেন নিশিবাবু। তাই এখন ভাল জিনিস নির্মাণ করলে খদ্দের যে আসবেই তা নিয়েও নিশ্চিত তিনি। নিশি বাবুর কথায়, “দিদিকে ভালবেসে এই মূর্তি কিনে নিতে অনেকেই রাজি হবেন, তাই পরিশ্রমের দামটুকু মিটলেই এই মূর্তি দিয়ে দেব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy