মাথা ফাটল আশুতোষের। বালুরঘাটে। নিজস্ব চিত্র
পুলিশের লঠিচার্জ, পাল্টা পুলিশকে মারধর, গাড়ি ভাঙচুর চলল দক্ষিণ দিনাজপুরেও। জেলাজুড়ে বন্ধ মোকাবিলায় নেমে পুলিশ বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার, সাধারণ সম্পাদক মানস সরকার-সহ বিজেপির প্রায় তিনশো নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। কুমারগঞ্জে শাসক দলের বিরুদ্ধে বন্ধ সমর্থকদের উপরে লাঠিসোটা নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ এবং তৃণমূল হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আড়াইশোর উপরে বন্ধ সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বড় ধরনের কোনও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেনি।’’
বুধবার সকাল থেকে বিজেপির ডাকা বন্ধে রেকর্ড ভেঙে পুরো তহবাজার বন্ধ ছিল। জেলাজুড়ে বেসরকারি বাস চলেনি। অধিকাংশ স্কুল, কলেজ, ব্যাঙ্কও বন্ধ ছিল। স্কুলে শিক্ষকেরা গিয়েছিলেন। তবে পড়ুয়া না থাকায় ক্লাস হয়নি। পুলিশি পাহারায় এনবিএসটিসির বাস চলেছে। বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর এবং বুনিয়াদপুর পুরসভা খোলা ছিল। কাজকর্মও স্বাভাবিক হয়েছে বলে পুর কর্তৃপক্ষের দাবি।
যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ অন্যায় লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মীদের রক্তাক্ত করেছে।’’
বালুরঘাটের পতিরামে পঞ্চায়েতে পুলিশের লাঠির আঘাতে উপপ্রধান আশু সরকারের মাথা ফেটে তিনি গুরুতর জখম হন। গ্রেফতার করা হয় ১৫ জন বিজেপি কর্মীকে।
এনবিএসটিসি ডিপোর সামনে মিছিল নিয়ে এগোতে গেলে পুলিশ বিজেপি জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার-সহ প্রায় ১৫০ জনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। হরিরামপুরে বিজেপির কর্মীদের বিক্ষোভ আটকাতে গিয়ে জখম হন সাব ইন্সপেক্টার আসিরুল হক। দুপুরে কামালপুরে রায়গঞ্জ-হিলি রুটের এনবিএসটিসি বাসে ঢিল ছুড়ে কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। রক্তাক্ত হন এক যাত্রী। গঙ্গারামপুরে ফুলবাড়িতে গ্রেফতার করা হয় বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মানস সরকার সহ শতাধিক বিজেপি কর্মীকে। আদিবাসী অধ্যুষিত তপন ও করদহ এলাকায় পিকেটিং চলে। পুলিশ পরে সেখানেও বন্ধ সমর্থক নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy