Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

কিডনি চুরি, ফের অভিযুক্ত নার্সিংহোম

জয়গাঁর বাসিন্দা ভারতী ওঁরাও জানিয়েছেন, তাঁর কিডনিতে পাথর ধরা পড়ায় অস্ত্রোপচারের জন্য তিনি ভর্তি হয়েছিলেন কোচবিহারের ওই নার্সিংহোমে। অস্ত্রোপচারের পর বাড়ি ফেরার পরেও তাঁর পেটে ব্যথা কমেনি।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৮ ০৩:২০
Share: Save:

অস্ত্রোপচারের নামে ফের রোগীর কিডনি কেটে নেওয়ার অভিযোগ একই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। কোচবিহারের তেঁতুলতলার ওই বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হলেন এক রোগী। কয়েকদিন আগে ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনে মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হন আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা এক রোগী।

জয়গাঁর বাসিন্দা ভারতী ওঁরাও জানিয়েছেন, তাঁর কিডনিতে পাথর ধরা পড়ায় অস্ত্রোপচারের জন্য তিনি ভর্তি হয়েছিলেন কোচবিহারের ওই নার্সিংহোমে। অস্ত্রোপচারের পর বাড়ি ফেরার পরেও তাঁর পেটে ব্যথা কমেনি। ফের স্থানীয় এক চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন তিনি। ভারতীর দাবি, আলট্রাসানোগ্রাফি করে তিনি জানতে পারেন, তাঁর একটি কিডনি নেই। এর পরই তিনি ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন। বৃহস্পতিবার তাঁর আইনজীবী দুলাল দে সাংবাদিকদের জানান, আদালতে ১৬ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করা হয়েছে ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে।

কয়েকদিন আগে আলিপুরদুয়ারের পশ্চিম শালবাড়ির বাসিন্দা সুরেন দে একই অভিযোগে কোচবিহারের জেলাশাসকের দ্বারস্থ হন। একই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে পরপর একই অভিযোগ প্রকাশ্য আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ভারতীর পরিবার ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে কিডনি-চক্র চালানোর অভিযোগ এনেছে। যদিও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ অভিযোগ উড়িয়ে দেন। নার্সিংহোমের মালিক তপনকুমার পাল বলেন, “ভারতীদেবীর বিষয়টি আমার সঠিক জানা নেই। তিনি এই নার্সিংহোমে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। সমশ্লিষ্ট চিকিৎসকই বিষয়টি বলতে পারবেন।” ভারতীর চিকিৎসক ওয়াসিম রাজাও ওই অভিযোগকে পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “ওই মহিলার কিডনি খারাপ ছিল। ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে পায়োনেফ্রোসিস বলে। এই অবস্থায় থাকলে সেপটিসেমিয়া হয়ে যায়। তাঁর মতামত নিয়েই চিকিৎসা করানো হয়েছে। এখন আমার কাছে টাকা নেওয়ার জন্য এমন মিথ্যে অভিযোগ সাজিয়ে চাপ দিচ্ছেন। আদালতে সেই সংক্রান্ত সমস্ত নথি জমা দেব।”

ভারতীর পাল্টা দাবি, চিকিৎসকের পরামর্শমতোই তিনি চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হন। ২১ জানুয়ারি তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। পরে তিনি বাড়ি ফিরে যান। কিছুদিন পর থেকে আবার পেটে ব্যথা হতে থাকে। স্থানীয় চিকিৎসককে দেখিয়ে তিনি আলট্রাসোনোগ্রাফি করেন। ভারতীর দাবি, পরীক্ষায় তাঁর একটি কিডনি নেই বলে তিনি জানতে পারেন। তাঁর আইনজীবী বলেন, “যদি কিডনি বাদ দেওয়ার মতো পরিস্থিতি থাকত তাহলে রোগীর অনুমতি নিতে হত। কিন্তু কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। আমরা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে ১৬ লক্ষ টাকার ক্ষরিপূরণের মামলা দায়ের করেছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kidney Nursing home
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE