প্রতীকী ছবি।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের রেসপিরেটরি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি এক ব্যক্তির মৃত্যু হল, জানিয়েছে হাসপাতাল সূত্র। রবিবার গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর বয়স ৫৫ বছর। বাড়ি ভক্তিনগর থানা এলাকায়। স্বাস্থ্য দফতরেরই একটি সূত্রের দাবি, সন্দেহভাজন করোনা আক্রান্ত বলে তাঁকে শিলিগুড়ি সদর হাসপাতাল থেকে সোমবার রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে রেফার করা হয়েছিল। পরে ঠিক হয়, মেডিক্যাল থেকে কাওয়াখালির সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন (সারি) কেন্দ্রে পাঠানো হবে। কিন্তু হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভর্তির পর তাঁর শারীরিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয় যে, তাঁকে কোথাওই আর পাঠানো যায়নি। গভীর রাতে রিকুতেই তিনি মারা যান। এ দিনই তাঁর সোয়াব পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়। সেই রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃতদেহ পরিবারের হাতে দেওয়া হবে না বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়।
এর মধ্যেই এ দিন শিলিগুড়ির উপকন্ঠে জলপাইগুড়ি জেলার মধ্যে থাকা ডাবগ্রামের একতিয়াশাল এলাকাকে ‘কনটেনড’ জ়োন ঘোষণা করে সেখানে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। জ্যোতিনগর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে এই এলাকাটি। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে বাড়ি বাড়ি স্ক্রিনিং শুরু হয়েছে।
সন্দেহভাজন রোগীদের জেলা হাসপাতাল বা অন্য কোথাও না রেখে সারি হাসপাতালেই পাঠানোর কথা। কিন্তু তাঁদের কেন এখনও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে পাঠানো হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের চিকিৎসকদের একাংশ। মাটিগাড়ার কোভিড হাসপাতালে দুই নার্স এবং তাঁদের এক জনের পরিবারের দুই আক্রান্ত সদস্য রয়েছেন এখন। তাঁদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এ দিন তাঁদের সোয়াব পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট দেখেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। উত্তরবঙ্গে করোনা মোকাবিলায় সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক সুশান্ত রায় বলেন, ‘‘ওই রোগীর বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy