Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
ইনিংস শুরুতে বিক্ষোভের মুখে সভাধিপতি

কোচবিহারে উমাকান্তই

জেলা পরিষদের একশো মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়। উমাকান্ত বর্মণকে সভাধিপতি করার কথা ঘোষণা হতেই বিক্ষোভ ফেটে পড়ে।

উমাকান্ত বর্মণ, সভাধিপতি, কোচবিহার

উমাকান্ত বর্মণ, সভাধিপতি, কোচবিহার

নমিতেশ ঘোষ
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:১৯
Share: Save:

জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তাল হয়ে উঠল কোচবিহার। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ কোচবিহার জেলা পরিষদের বোর্ড গঠন পক্রিয়া শুরু হয়। জেলা পরিষদের একশো মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়। উমাকান্ত বর্মণকে সভাধিপতি করার কথা ঘোষণা হতেই বিক্ষোভ ফেটে পড়ে।
দলের জেলা কোর কমিটির তিনি নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, বিনয়কৃষ্ণ বর্মন এবং উদয়ন গুহ ‘মুর্দাবাদ’ বলে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ হয়। পরে বিনয়বাবু ও উদয়নবাবুর ছবিতে জুতোর মালা পড়িয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। রেলঘুমটি এলাকায় ওই তৃণমূলকর্মীরাই টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। এই অবস্থার মধ্যেই পুলিশ পাহারায় এক এক করে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী এবং সভাধিপতিকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সহ সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদের অনুগামী। তাঁর আত্মীয়রাও সেখানে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আব্দুল জলিল আহমেদের অনুগামীদের দাবি, দলের শীর্ষস্তরের কয়েক জন নেতার অনুরোধেই ভোটে দাঁড়াতে রাজি হয়েছিলেন তিনি। তিনিই সভাধিপতি হবেন, এমন কথাও হয়েছিল বলে তাঁদের দাবি। তারপরে দু’দিন আগে রাজ্য নেতৃত্ব সভাধিপতির নাম ঠিক করে একটি খাম জেলা সভাপতির কাছে পাঠান। আর তার মধ্যেই উমাকান্তবাবু যে সভাধিপতি হচ্ছেন, তা ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে জলিল আহমেদের অনুগামীরা ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে শুরু করেন। সেই খবর জেনেই কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করে পুলিশ।
এ দিন সকাল ১১ টার মধ্যে একে একে সমস্ত সদস্য ঢুকে যান জেলা পরিষদে। জেলাশাসক কৌশিক ঘোষ পৌঁছে যান তাড়াতাড়ি। জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের গাড়ির সামনেও বিক্ষোভ হয়।
রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “এটা রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত। দল যাকে চেয়েছে তিনিই সভাধিপতি হয়েছেন। সবাই দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে। কোথাও কোনও বিরোধ নেই। তৃণমূলের কেউ বিক্ষোভ দেখায়নি। ভিড়ের মধ্যে বিজেপির লোক ঢুকে ওই বিক্ষোভ দেখিয়েছে।”
আবুল জলিল আহমেদ বলেন, “কেন জানি না আমাকে সভাধিপতি করা হল না। তা বলতে পারব না। আমি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি।” জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি পুষ্পিতা রায় ডাকুয়াকে এবারে সহ সভাধিপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি অবশ্য এতে দুঃখে কেঁদে ফেলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Panchayat Election 2018 Cooch Behar TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE