ভাঙচুর: পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙচুর। নিজস্ব চিত্র
পঞ্চায়েতে ঢুকে ভাঙচুর। সেই সঙ্গে উপপ্রধানের উপরেও হামলা। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল চোপড়া। শুক্রবার দুপুরে চোপড়ার হাপতিয়াগছ এলাকার ঘটনা। সেখানে গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে চোপড়া থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চোপড়ার হাপতিয়াগছ গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড নিয়েই গোষ্ঠী কোন্দল ছিল সেখানে। উপপ্রধান শাকির আলমের অভিযোগ, এ দিন তিনি পঞ্চায়েতে বসেছিলেন। অন্য পঞ্চায়েত সদস্যেরা অনেকেই অনুপস্থিত ছিলেন সেখানে। সেখানে এলাকার এক যুবক বেশ কিছু কাগজ নিয়েই সই করাতে বলে। তিনি কাগজগুলি সই করার জন্য পড়ার সময় তারা হামলা চালায় বলেই অভিযোগ। উপপ্রধানের দাবি, উপপ্রধান পদটির জন্য টাকার বিনিময়ে একজনকে নির্বাচিত করা হয়েছিল। তাঁকে বাকি সদস্যেরা না মেনে আমাকে উপপ্রধান করে দেন। তাই এ দিন পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানো হয়।
শাকিরের কথায়, ‘‘এলাকার এক তৃণমূল নেতা তাহের আলমের লোকেরাই আমার উপর হামলা চালায়। আমার উপর গুলি চালানো হয়। টেবিলের তলায় লুকিয়েছিলাম। এটা কোন ধরনের রাজনীতি! পুলিশের সামনেও গুলি চালায় এরা!’’ যদিও তৃণমূলের চোপড়ার কোর কমিটির সদস্য তাহের আলমের দাবি, ‘‘এ দিন আমি নমাজ পড়তে গিয়েছিলাম। আমাদের লোকেরাই বা গন্ডগোল করতে যাবে কেন? এর পেছনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে কোনও বিষয়ই নেই। শুনেছি, এ দিন কিছু কর্মী-সমর্থক গিয়েছিলেন অনুদানের তালিকা নিয়ে। সেখানেই কথা কাটাকাটি শুরু হয়।’’
চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান বলেন, ‘‘ওই পঞ্চায়েতে উপপ্রধান নিয়ে কর্মীদের মধ্যে একটা অসন্তোষ ছিল বলেই জানি. বলেছিলাম, বসে মিটিয়ে দেওয়া হবে। তবে এই ধরনের কোনও অশান্তি হয়েছে বলে জানা নেই। বিষয়টা দেখছি। যদিও এই বিষয়ে কোন অভিযোগ জমা পড়েনি।’’ শাকির জানান, রাতে অভিযোগ জমা করবেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক মণ্ডলকে ফোন করা হলে তার ফোনটি বেজেই গিয়েছে। তিনি ধরেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy