ঝুঁকি: রাস্তার ধারে এ ভাবেই বিক্রি হচ্ছে পনির। ছবি: অমিত মোহান্ত
অগ্নিমূল্য ডিম। তা থেকে বাঁচতে পনিরের দিকে ঝুঁকেও নিস্তার নেই। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে পনিরের দামও আগুন।
কেজি প্রতি পনিরের দাম ৩০০ টাকা। তার উপর সেই পনির কিনতে গিয়ে বিক্রির বেহাল অবস্থা দেখে প্রশ্ন উঠেছে ওই পনির কতটা নিরাপদ। কারণ রাস্তার ধারে ধুলো ময়লা পরিবেশে অবাধে খুচরো পনির বিক্রি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শহরবাসীদের একাংশ খাদ্যের মান ও সুরক্ষা নিয়ে পুর ও প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়েও সরব হয়েছেন।
শহরের সাধনামোড় এলাকায় বেশ কয়েকটি মিস্টির দোকান রয়েছে। তার সামনে রাস্তার ধারে টুলের উপর পনির সাজিয়ে বিক্রি চলছে। পাশের বাজারের গলিতে চায়ের দোকানের বেঞ্চের উপর উন্মুক্ত পনিরের চাঁইতে মাছি ভনভন করছে। পাশে কুকুর ও ষাঁড়ের ঘোরাঘুরি। চা দিতে দিতে ওই হাতেই পনির কেটে ছোট টুকরো করে বিক্রি করছেন দোকানি। শহরের ওই এলাকা থেকে পনির সরবরাহ হয়ে বাড়ির হেঁসেল থেকে স্কুলের মিড-ডে মিলে যায়। বিয়ের মরসুমেও পাতে থাকে চিলি পনির, পনির পকোড়া, পনিরের ডালনার মতো রান্না।
কিন্তু এ ভাবে বিক্রি হওয়া পনির খাওয়া কতটা নিরাপদ তা পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের বক্তব্য, ‘‘ডিমের দাম ৭টাকা করে। এই অবস্থায় যে নিশ্চিন্তে পনিরের স্বাদ নেব, তারও উপায় নেই।’’ একেই দাম চড়েছে। তার উপর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাস্তায় নর্দমার ধারে চলছে পনির বিক্রি। সে দিকে কোনও খেয়াল নেই স্বাস্থ্য বিভাগের কাউন্সিলর থেকে পুরপ্রধানের।
পনির বিক্রেতাদের অবশ্য বক্তব্য, পুরসভা থেকে নির্দিষ্ট কোনও জায়গা না পেয়ে বাধ্য হয়ে রাস্তা, গলির ধারে অস্থায়ীভাবে বসতে হচ্ছে। তবে সাদা কাপড় দিয়ে পনির ঢেকে বিক্রি হয়। বিয়ের মরসুমে দুধের দাম বেশি হওয়ায় পনির ৩০০টাকা কেজিতে উঠেছে বলে তাদের দাবি। দূষিত পরিবেশে পনির বিক্রির ফলে যে কোন সময় বিপদের আশঙ্কার কথা স্বীকার করে বালুরঘাটের পুরপ্রধান রাজেন শীল বলেন, ‘‘শীঘ্রই ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে পদক্ষেপ নিতে বলবো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy