শোকার্ত: সরস্বতীর পরিবার। নিজস্ব চিত্র
বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগে বিক্ষোভ দেখালেন মৃতার পরিজনেরা। রবিবার সকালে মালদহ মেডিক্যালের ঘটনায় পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। থানায় এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। অভিযোগের ভিত্তিতে কমিটি গড়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ জানিয়েছে, সরস্বতী সরকার (৫৪) হবিবপুর থানার শ্রীরামপুর পঞ্চায়েতের কলাইবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর স্বামী মণীন্দ্রনাথ আগেই মারা গিয়েছেন। চার ছেলে-মেয়েরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পেটের যন্ত্রণা নিয়ে তাঁকে পরিবারের লোকেরা ভর্তি করেন মেডিক্যালে। ওই দিন থেকে তিনি ভর্তি ছিলেন মাতৃমা বিভাগে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে সরস্বতীর পেটে টিউমার রয়েছে। সেই চিকিৎসাই চলছিল। এ দিন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হন মৃতার আত্মীয় পরিজনেরা।
তাঁদের দাবি, শনিবার রাতে প্রচণ্ড পেটে ব্যথা শুরু হয় রোগীর। চিকিৎসকদের জানানো হলেও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। নিরাপত্তারক্ষীরা পরিবারের লোকেদেরও ঢুকতে বাধা দেন। এ দিন সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ জোর করে পরিবারের লোকেরা ওয়ার্ডে ঢুকে যান। মৃতার মেজ ছেলে তপন সরকার বলেন, “সকালে গিয়ে দেখি প্রচণ্ড পেটের যন্ত্রণায় মা কাতরাচ্ছেন। পেট ফুলে রয়েছে। হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। নার্সরা গুরুত্ব দেননি। আমরাই পায়ে-হাতে তেল মালিশ করতে থাকি। পরে এক জন চিকিৎসক গিয়ে ইনজেকশন দেন। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই মা মারা যান।’’
ক্ষোভে ফেটে পড়েন অন্য রোগীর পরিজনদের একাংশও। পরে ছুটে আসেন হাসপাতালের ডেপুটি সুপার তাপসকুমার ঘোষ। তিনি বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। গাফিলতি প্রমাণিত হলে পদক্ষেপ করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy