Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Dengue

হাসপাতালেও নাজেহাল মশার দাপটে

রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, মশার আঁতুর ঘর হয়ে রয়েছে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বর। হাসপাতালের নিকাশি নালা সহ যত্রতত্র জমে রয়েছে জল, নোংরা আবর্জনা। যার জন্যই এত মশার উপদ্রব বলে অভিযোগ।

আবর্জনা: হাসপাতালের নিকাশি মশার আঁতুড় ঘর। নিজস্ব চিত্র

আবর্জনা: হাসপাতালের নিকাশি মশার আঁতুড় ঘর। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০১৭ ০২:১৬
Share: Save:

তিন দিনের শিশু কোলে হাসপাতালের শয্যায় বসে মা। নাগাড়ে হাত নাড়িয়ে চলেছেন তিনি। শিশুকে মশার হাত থেকে বাঁচাতে। উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা ওই প্রসূতি বললেন, “দিবারাত্রি কানের কাছে ভনভন করছে মশা। হাসপাতাল জুড়ে ভর্তি জ্বরের রোগী। ভয়ে এই অসুস্থ শরীরেও মশা তাড়ানোর জন্য হাত নাড়তে হচ্ছে।”

একই অভিজ্ঞতা ইংরেজবাজার শহরের বাসিন্দা রুমা বসাকেরও। তিনি বলেন,“জ্বর নিয়ে পাঁচ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দিদি। ওয়ার্ডের মধ্যে হোক বা বাইরে কোনওখানে স্থির হয়ে দাঁড়ানো যাচ্ছে না।” মশার আতঙ্কে ভুগছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী এবং তাঁদের পরিজনেরা। অতিষ্ঠ মেডিক্যাল কলেজের নার্স এবং চিকিৎসকরাও।

রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, মশার আঁতুর ঘর হয়ে রয়েছে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বর। হাসপাতালের নিকাশি নালা সহ যত্রতত্র জমে রয়েছে জল, নোংরা আবর্জনা। যার জন্যই এত মশার উপদ্রব বলে অভিযোগ। যদিও এর জন্য ইংরেজবাজার পুরসভাকে দায়ী করেছেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। অধ্যক্ষ প্রতীপ কুণ্ডু বলেন, “মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে নোংরা ও আবর্জনা সাফাই এর দায়িত্বে রয়েছে পুরসভা। পুর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।” পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, “হাসপাতাল নিয়মিত সাফাই করা হয়। প্রয়োজনে বাড়তি সাফাই করা হবে।”

মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলা এবং পুরুষ মেডিসিন বিভাগে প্রায় চার শতাধিক রোগী ভর্তি রয়েছেন। তার মধ্যে দু’শতাধিক রোগী জ্বরে আক্রান্ত। এক শয্যায় দু’জন কিংবা তিনজন করে রোগী রেখেও জায়গা হচ্ছে না। ফলে মেঝেতে, বারান্দায় গাদাগাদি করে রোগীদের রেখে চিকিৎসা চলছে। একই শয্যায় একাধিক রোগী থাকায় মশারি টাঙানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই মশার উপদ্রবে নাজেহাল হতে হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, পুরুষ মেডিসিন বিভাগের পিছনে এবং জুনিয়ার চিকিৎসক, নার্সদের হোস্টেল চত্বরে নিকাশিগুলি মজে গিয়ে জল জমে রয়েছে। সেই সঙ্গে হাসপাতাল চত্বর জুড়েই আবর্জনা ছড়িয়ে রয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের এক কর্তা বলেন, “ওয়ার্ড সাফাইয়ের দায়িত্ব আমাদের। আর বাইরে সাফাইয়ের দায়িত্ব পুরসভার। ব্লিচিং, কীটনাশক তেল স্প্রে করা হবে বলে জানান পুরপ্রধান নীহাররঞ্জনবাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE