Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

রোগীর ঢল হাসপাতালে

শিলিগুড়ি হাসপাতাল জ্বরে আক্রান্ত রোগীর ভিড়ে উপচে পড়েছে। বিছানায় গাদাগাদি করে জ্বরের রোগীরা রয়েছেন। মেঝেতেও রোগী রাখার জায়গা বাড়ন্ত। জ্বরের প্রকোপ না কমায় দুশ্চিন্তায় স্বাস্থ্য কর্তারা।

অসুস্থ: জ্বরে আক্রান্ত রোগী। নিজস্ব চিত্র

অসুস্থ: জ্বরে আক্রান্ত রোগী। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৩২
Share: Save:

জ্বরে আক্রান্ত রোগীর ভিড় কমছেই না শিলিগুড়ি হাসপাতালে। ডেঙ্গি তো রয়েইছে, সেই সঙ্গে থাবা বসিয়েছে ‘ভাইরাল জ্বর’ও। শুক্রবার শিলিগুড়ি হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ এবং বহির্বিভাগে জ্বরে আক্রান্ত শতাধিক রোগী এসেছিলেন। এ দিনই হাসপাতালে আসে স্বাস্থ্য দফতরের একটি প্রতিনিধি দলও। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন, কমিউনিটি মেডিসিন সহ বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিরা ছিলেন। প্রাথমিক ভাবে প্রতিনিধি দল জানিয়েছে, ‘ভাইরাল’ জ্বরের কারণেই প্লেটলেট কমে থাকতে পারে। তবে সেটি কী ধরণের জ্বর তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় স্বাস্থ্য দফতর। দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘একটি প্রতিনিধি দলকে শিলিগুড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তারা বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা করেছেন। রিপোর্ট পাওয়ার পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’’

শিলিগুড়ি হাসপাতাল জ্বরে আক্রান্ত রোগীর ভিড়ে উপচে পড়েছে। বিছানায় গাদাগাদি করে জ্বরের রোগীরা রয়েছেন। মেঝেতেও রোগী রাখার জায়গা বাড়ন্ত। জ্বরের প্রকোপ না কমায় দুশ্চিন্তায় স্বাস্থ্য কর্তারা। এর মধ্যে আবহাওয়াও দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে। শীত পড়লেই ডেঙ্গির প্রকোপ কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেও চড়া রোদ শিলিগুড়িতে। শুক্রবার শিলিগুড়ির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চড়া রোদ, তাপমাত্রার পরে বৃষ্টি হলে মশার উৎপাত আরও বাড়বে। ডেঙ্গি সংক্রমণের আশঙ্কাও বেড়ে যাবে।

অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের পরিষেবা নিয়েও। রোগীদের একাংশের অভিযোগ নিয়মিত তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হচ্ছে না। চিকিৎসক স্যালাইন লাগানোর নির্দেশ দেওয়ার পর কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও স্যালাইন মিলছে না। কাউকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মেঝেতে ফেলে রাখা হলেও স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়নি বলে অভিযোগ। বাঘাযতীন কলোনি এলাকায় জ্বরে আক্রান্ত এক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা। রোগীর এক পরিজনের অভিযোগ, ‘‘ভর্তির পরে দু’ঘণ্টা কেটে গেলেও চিকিৎসা শুরু হয়নি। কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখতে আসেননি।’’ হাসপাতালের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, রোগী ভর্তির পরে স্যালাইন লাগানো হয়েছে। চিকিৎসা শুরু হয়নি এই অভিযোগ সত্যি নয়। দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Viral Fever শিলিগুড়ি
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE