প্রতীকী ছবি
বিজ্ঞানমঞ্চ বলছে— কুসংস্কার। প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ‘‘ধর্মীয় ব্যাপার। তাঁদের কী করার আছে?’’
এমনই টানাপড়েনের আবহেই করোনা রুখতে পুজোয় মাতলেন কয়েক জন। সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রীতিমত জাঁকজমক করে হল করোনা পুজো। মূলত হরিজন সম্প্রদায়ের মহিলারাই সেই পুজোয় শামিল হন। বালুরঘাট শহরের বটকৃষ্ণপল্লির উত্তমাশা মাঠে। পরিবারের পাশাপাশি বিশ্বশান্তির জন্য এ দিন করোনা পুজো করেন বলে জানান ওই মহিলারা। দু’দিন আগে গঙ্গারামপুর শহরের সাহাপাড়া এলাকায় এক দল মহিলা করোনা পুজোর আয়োজন করে লাড্ডু উৎসর্গ করেছিলেন।
লকডাউন, তার পরে সরকারি একাধিক পদক্ষেপেও করোনার প্রকোপ কমেনি। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূ্ত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ দিনাজপুরে করোনা আক্রান্ত ৪৬ জন। বালুরঘাট পুর-এলাকায় এখনও কারও সংক্রমণ না হলেও লাগোয়া চকভৃগু, ডাঙা এবং মালঞ্চা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় ইতিমধ্যেই ৪ জন করোনায় আক্রান্ত। এখনও পর্যন্ত ভাইরাস রুখতে ওষুধ মেলেনি। তাই শেষে ভগবানই ‘ভরসা’!
এ দিন শহরের উত্তমাশা এলাকার ফাঁকা মাঠে গর্ত করে তাতে ছোলা, দারচিনি এবং জবা ফুল রেখে হয় পুজো। স্থানীয় গৃহবধূ চামেলি প্রসাদ, রিঙ্কি চৌধুরী জানান, রোগের প্রকোপ কমাতে ওই পুজোর আয়োজন।
বালুরঘাট বিজ্ঞানমঞ্চের প্রতিনিধি প্রদীপ বসুর কথায়, ‘‘করোনা পুজোর মধ্যে দিয়ে মানুষ কুসংস্কারকে প্রতিষ্ঠা করছে।’’ তবে এর বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করার কোনও উদ্যোগের কথা তিনি জানাননি। বালুরঘাটের মহকুমাশাসক বিশ্বরঞ্জন মুখোপাধ্যায় এ সংক্রান্ত প্রশ্ন শুনে বলেন, ‘‘করোনা পুজো হচ্ছে? কোনও খবর পাইনি তো। তা যদি হয়ে থাকে, তবে আমাদের কী করার আছে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy