সেই রথ। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
রথযাত্রা নিয়ে কোচবিহার থেকে নয়াদিল্লি, চূড়ান্ত হইচই। অথচ, রথ কোথায়, কেউ জানে না। এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবও এড়িয়ে যাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। বৃহস্পতিবার কোচবিহার জেলা সভাপতি যেমন বলতে চাইলেন না, তেমনই শুক্রবার এই রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের মুখেও একই জবাব। তা হলে রথ কোথায়? সেটা কি আদৌ রাজ্যে পৌঁছেছে?
বিজেপি যতই ঢাক ঢাক গুড় গুড় করুক, তাদেরই একটি সূত্র জানিয়েছে, রথ এখন দাঁড়িয়ে রয়েছে মাটিগাড়ার একটি আস্তানায়। দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, বিহার হয়ে উত্তরবঙ্গে ঢোকে এই রথ, যার নম্বর উত্তরপ্রদেশের। কর্মীদের দাবি, মুখে যা-ই বলুন না কেন, বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের পরেই বিজেপি নেতারা বুঝে যান, শুক্রবার অন্তত আলো থাকতে থাকতে রথ বার করার আইনি ছাড়পত্র পাওয়া যাবে না। তাই বৃহস্পতিবার রাতেই কোচবিহারে রথ পৌঁছে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটিকে মাঝপথে আটকে দেওয়া হয়। কিসানগঞ্জ হয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরেই উত্তরবঙ্গে ঢুকে পড়েছিল রথটি। তার পরে উত্তর দিনাজুরের ইসলামপুরের নানা এলাকা হয়ে সেই জেলার বিজেপি নেতাদের পাহারায় বাস ঢোকে দার্জিলিং জেলায়।
রথযাত্রার অনুমতি হাইকোর্ট যখন খারিজ করে, রথ তখন শিলিগুড়ির কাছাকাছি। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব রথকে থামতে বলেন। বিজেপির দাবি, রথের ওপর হামলার আশঙ্কা ছিল। তাই একটি নিরাপদ জায়গার খোঁজ চলছিল। সূ্ত্রের খবর, বিজেপির এক সাংসদ একটি নিরাপদ জায়গা খুঁজে দেন। সেখানেই রাখা আছে রথটি। বিজেপির এক রাজ্য নেতার কথায়, “রথটিকে আমরা সব প্রতিকূল নজর থেকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছি।’’
বিজেপি নেতা-কর্মীরা রথ বললেও এটি আদতে একটি বিলাসবহুল বাস। বাতানুকূল ওই বাসে রয়েছে অত্যাধুনিক নানা ব্যবস্থা। বাসের মাথা এবং দু’দিকের দেওয়ালের উপরের অংশ খোলা যায়। বাসের মাথার ছাদ সরে গিয়ে একটি ছোট্ট মঞ্চকে উপরে তোলা যায়, যাতে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করা সম্ভব। বাসের গায়ে স্পিকারও লাগানো রয়েছে।
তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপি নেতারা বিলক্ষণ জানতেন রথযাত্রা হবে না। তাই যাত্রার দিন কোচবিহারে রথ নিয়ে যাননি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy