উৎসব: গঙ্গারামপুরের নাট্য সংসদ ক্লাবের প্রতিমা। ছবি: অমিত মোহান্ত
পুজোর ভিড় সামলাতে ষষ্ঠী থেকে নবমী— চারদিন রায়গঞ্জ শহরে যান নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ। শনিবার পুজোর ‘গাইড ম্যাপ’ প্রকাশ করে সে-কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। যানজট এড়াতে, দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য শহরে শিলিগুড়ি মোড় থেকে এনএস রোড, মহাত্মা গাঁধী রোড হয়ে কসবা মোড় পর্যন্ত এবং বিদ্রোহী মোড় থেকে হাসপাতাল রোড, জেলখানা রোডে সমস্তরকম যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে বেলা ৩টে থেকে রাত ২টো পর্যন্ত।
তাতে হেঁটে শহরের কেন্দ্রে ২৮টি বড় পুজো মণ্ডপে ঘোরা যাবে। ট্র্যাফিক পুলিশ শহরের বিভিন্ন বিকল্প গলিপথ ও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে যানবাহন ঘুরিয়ে দেবে। জাতীয় সড়কে ছোট গাড়ি চলাচল করতে পারলেও ট্রাক, ভারী গাড়ি ওই সময় নিয়ন্ত্রণ করা হবে। টোটো জাতীয় সড়কে নিষিদ্ধ। বাইক, টোটো, অটো, রিকশা শহরের গলিপথে চলাচল করতে পারবে।
শহরমুখী বাস, ট্রেকার-সহ বিভিন্ন বড় গাড়ি উদয়পুর, কসবা মোড় এবং দেবীনগর ও কুলিক সেতুতে আটকে দেবে ট্র্যাফিক পুলিশ। জাতীয় সড়কে বাস, বাইক, ছোট গাড়ি চলতে পারবে। অটো, টোটো, রিকশা, বাইক, সাইকেল ও ছোট গাড়ি গলিপথ দিয়ে চলতে পারবে। সেইমতো সুদর্শনপুর, সেবকপল্লি, মিলনপাড়া, তুলসিপাড়া, নিশীথসরণি, রমেন্দ্রপল্লি, শক্তিনগর, পালপাড়া, অশোকপল্লি, বিধাননগর, নেতাজিপল্লি ও স্টেশন রোড হয়ে চলাচল করানো হবে। অন্যদিকে, কসবা, দেবীনগর, কলেজপাড়া, বীরনগর, রাসবিহারী মার্কেট, কাঞ্চনপল্লি, বন্দর ও কুমারডাঙ্গি হয়ে সেইসব যানবাহন ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু কোনওমতেই কোনও যানবাহন শহরের পুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তার উপরে উঠে রেলগেট পার হতে পারবে না। টোটো বাদে ছোট গাড়ি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে রেলগেট পার হবে।
ট্র্যাফিক পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার মিলিয়ে এক হাজারেরও বেশি পুলিশকর্মী ওই চারদিন শহরের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবেন। পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানান, যান নিয়ন্ত্রণ সবটাই নির্ভর করবে দর্শনার্থীদের ভিড়ের উপর। ভিড় কম থাকলে প্রয়োজনমতো গাড়ি চলাচলের সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
পুরপ্রধান সন্দীপ বিশ্বাস জানান, পুজোর দিনগুলোয় শিলিগুড়ি মোড় থেকে বিদ্রোহী মোড় ও জেলখানা মোড় পর্যন্ত প্রধান রাস্তায় পুরসভার সহায়তা শিবির থাকবে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা, পানীয় জল, বিশ্রামের ব্যবস্থা থাকবে। বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী শৌচাগার হবে। অ্যাম্বুল্যান্সেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড় এলাকার ট্র্যাফিক অফিস ও রায়গঞ্জ থানা থেকে বাসিন্দাদের শিশুদের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। কোনও দর্শনার্থী কোনও সমস্যায় পড়লে বা কোনও গোলমাল দেখলে জেলা পুলিশের ৯৮৩২৫৫০৭৫৩ নম্বরে হোয়াট্সঅ্যাপে যোগাযোগ করতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy