Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সুবোধের মৃত্যুতে শোক ডান-বামের

একাধিক দল করার সুবাদে এলাকায় অনেকের সঙ্গেই তাঁর ঘনিষ্ঠ পরিচিতি ছিল। বাসিন্দা এবং দলের কর্মী সমর্থকদের কাছে ভাল মানুষ বলেই সম্মান পেতেন। 

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডালখোলা শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০৬:৩৫
Share: Save:

তৃণমূল নেতা সুবোধকুমার বাইনকে গুলি করে খুনের ঘটনায় এলাকায় বাম ডান সব দলেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মঙ্গলবার রাতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত ডালখোলার হাসান গ্রামের বাসিন্দা সুবোধবাবু দীর্ঘ দিন ধরে সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৮ সালে তিনি সিপিএম থেকে কংগ্রেসে যোগ দেন। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে নির্বাচিতও হন। পরে ২০১১ সালে তৃণমূলে যোগ দেন। বর্তমানে কোনও পদে না থাকলেও দলে তাঁর যথেষ্ট প্রভাব ছিল।

একাধিক দল করার সুবাদে এলাকায় অনেকের সঙ্গেই তাঁর ঘনিষ্ঠ পরিচিতি ছিল। বাসিন্দা এবং দলের কর্মী সমর্থকদের কাছে ভাল মানুষ বলেই সম্মান পেতেন।

সুবোধবাবুর জন্ম বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জে। ১৯৬৫ সালে তিনি এপারে আসেন পরিবারের সঙ্গে। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন। পারিবারিক কারণে পড়া চালাতে পারেননি। পেশায় কৃষক সুবোধবাবুর স্ত্রী এবং চার মেয়ে রয়েছে।

দীর্ঘ দিন ধরে তিনি রাজনীতি করছেন। পরবর্তীতে রাজনীতিতে আসেন সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ প্রয়াত নির্মল মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে। এক সময় সিপিএমের যুব সংগঠনও করেছেন।

দীর্ঘ দিন কানকির লোকাল কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৯৮ সালে সিপিএমের টিকিটে জিতলেও পরে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে প্রধান হন। পাঁচ বছর প্রধান ছিলেন গোয়ালপোখর ২ নম্বর ব্লকের সূর্যাপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের। কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুরের কংগ্রেসের জেলা সম্পাদক মহম্মদ মোস্তাফা বলেন, ‘‘সুবোধবাবু এলাকার সকলের প্রিয় ছিলেন। এই হত্যার জন্য তৃণমূল এবং বিজেপি দায়ী।’’ দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তোলেন তিনি। চাকুলিয়ার ফরওয়ার্ড ব্লকের বিধায়ক আলি ইমরান রমজ(ভিক্টর) বলেন, ‘‘একজন ভাল মানুষ ছিলেন সুবোধবাবু। এলাকায় প্রভাব ছিল।’’

এ দিন সকালে সুবোধবাবুর বাড়ি যান গোয়ালপোখরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী গোলাম রব্বানি। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। দল পাশে রয়েছে বলে পরিবারের সদস্যদের আশ্বাস দেন। সুবোধবাবু দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। দুই মেয়ে স্কুলে পড়াশোনা করছে। সুবোধের ভাইপো নির্মল বাইন বলেন, ‘‘কাকুর কোনও শত্রু ছিল না। তিনি ছিলেন সরল মনের মানুষ।’’

এলাকার মানুষের বক্তব্য, জেলায় কেন এত আগ্নেয়াস্ত্র আসছে, সে খোঁজ করা দরকার পুলিশের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Political Violence Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE