প্রতীকী ছবি
মোটা টাকার জরিমানার সতর্কতামূলক নির্দেশ দিয়েও ফল হল না।
মাস্ক না পরে নিয়ম ভাঙার সেই ছবিই দেখা গেল আলিপুরদুয়ার শহরে। রবিবার শহরের রাস্তাঘাট, বাজার-হাট দেখে বোঝাই গেল না, বাসিন্দারা পুরসভার নির্দেশের খবর আদৌ জানেন কিনা।
শনিবারই আলিপুরদুয়ার পুরসভার তরফে একটি কড়া নির্দেশ জারি করে বলা হয়েছে, পুর এলাকায় কেউ মাস্ক না পরে ঘুরলে তাকে পঞ্চাশ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। যত্রতত্র থুতু ফেললেও একই জরিমানা হবে বলেও জানানো হয়। যদিও এ দিন সারাদিন ধরে পুলিশকেও শহরের কোথাও জরিমানা করতে দেখা যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, জরিমানা সংক্রান্ত রসিদই ছাপা হয়েনি পুরসভার তরফে। এই কারণেই এ দিন জরিমানা আদায়ের কাজ শুরু করা যায়নি বলে অভিযোগ। এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, “মাস্ক পরে বাড়ির বাইরে বের হলে পুরসভার তরফে জরিমানা করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কারও কাছ থেকে জরিমানার টাকা আদায় করতে হলে তাঁকে তো সেই অর্থের বিনিময়ে রসিদ দিতে হবে। সেজন্য রসিদ ছাপানো প্রয়োজন। আর রসিদ ছাপানো হলেই জরিমানা করার কাজ শুরু হয়ে যাবে।” ফলে রবিবাসরীয় ছুটির দিনে অসাবধানতার ছবিটাও এতটুকুও বদলাল না। ছুটির দিনে মাস্ক ছাড়াই মাছ-মাংসের দোকানে গাদাগাদি ভিড়, চায়ের দোকানের বেঞ্চে অসতর্ক আড্ডা চলল দেদার। এরই মধ্যে দু’একজনকে কথা প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করে জানা গেল, তাঁরা পুরসভার ওই নির্দেশের কথা জানেনই না।
আলিপুরদুয়ারের পুরকর্তাদের দাবি, রসিদ ছাপানো নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কারণ, এ ধরনের জরিমানার ক্ষেত্রে পুরসভার রসিদ তৈরিই থাকে। আসলে নির্দেশ জারির পর জরিমানা আদায়ের আগে দু’দিন বিষয়টি নিয়ে প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পুরসভার প্রশাসক তথা আলিপুরদুয়ারের মহকুমাশাসক রাজেশ বলেন, “শনিবার ও রবিবার বিষয়টি নিয়ে প্রচার চলেছে। মাইকিংও হয়েছে। আজ, সোমবার থেকে নির্দেশ কার্যকর করা হবে।”
এ দিকে, করোনা পজ়িটিভ এক বৃদ্ধের মৃত্যুর জেরে শহরের বিধানপল্লি এলাকার একাংশকে কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। কিন্তু অভিযোগ, সেই এলাকায় অবাধে সাধারণ মানুষের যাতায়াত চলছে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর দীপক সরকার বলেন, “ওই বৃদ্ধের বাড়ি ও দোকানের সামনে একটি ব্যারিকেড দিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসাবে ঘোষণা হওয়া গোটা জায়গাটিকে
প্রশাসনের বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখা উচিত।” পুলিশের এক আধিকারিক অবশ্য বলেন, কন্টেনমেন্ট জ়োনে যাতে সরকারি নির্দেশ পালন হয় সেজন্য বিধানপল্লিতে নিয়মিত টহল চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy