৪০ মাইক্রনের কম এমন প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহারে ছড়াচ্ছে দূষণ। —ফাইল চিত্র।
গত প্রায় একবছর ধরে বন্ধ রয়েছে পুরসভার অভিযান। সেই সুযোগে রায়গঞ্জ শহরজুড়ে ফের নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের কারবার ও ব্যবহার শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। শহরের বিভিন্ন বাজারে প্রকাশ্যেই নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে শহরের পরিবেশপ্রেমীদের মধ্যে।
রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাসের দাবি, পুরসভার তরফে শীঘ্রই ব্যবসায়ীদের নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের কারবার বন্ধ করার জন্য সতর্ক করা হবে। সচেতন করা হবে ক্রেতাদেরও। পুরসভার তরফে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বিরোধী অভিযানও করা হবে বলে জানিন তিনি।
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশে ২০১০ থেকে তত্কালীন কংগ্রেস পরিচালিত পুরসভা শহরজুড়ে ৪০ মাইক্রনের কম এমন প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। তখন প্রতিমাসে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহারে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করতে শুরু করে পুর কর্তৃপক্ষ। তার জেরে শহরে ক্যারিব্যাগের কারবার ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায়। তারপর পুরসভার পরিচালনার দায়িত্ব প্রশাসকের হাতে যাওয়ার পর থেকে গত প্রায় একবছর ধরে ওই অভিযান বন্ধ হয়ে যায়। সেই সুযোগে ফের মোহনবাটি, বন্দর, এফসিআই, দেবীনগর, কসবা, বিদ্রোহীমোড়, সুদর্শনপুর, পালপাড়া, সুপারমার্কেট, শিলিগুড়িমোড়-সহ বিভিন্ন এলাকার বাজারে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহার শুরু হয়েছে বলে বাসিন্দাদের একাংশের দাবি।
কেন বন্ধ ছিল নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বিরোধী অভিযান? সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক তথা পুরসভার বিদায়ী প্রশাসক থেন্ডুপ নামগিয়েল শেরপা।
রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়ী, বিশিষ্ট পরিবেশবিদ কৌশিক ভট্টাচার্য ও চন্দ্রনারায়ণ সাহার বক্তব্য, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে গত ছ’মাসে শহরের ব্যবসায়ীদের একাধিকবার অনুরোধ করেও নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের কারবার ও ব্যবহার বন্ধ করা যায়নি। তা বন্ধ করতে পুরবোর্ডকে নিয়মিত অভিযান চালু রাখতে হবে বলে তাঁরা জানান।
শহরের আনাজ ব্যবসায়ী কালু সর্দার বা মাছ ব্যবসায়ী সনাতন বর্মন অবশ্য ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ নির্মাতাদের বিরুদ্ধে। তাঁদের অভিযোগ, ওই নির্মাতাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তাঁদের আরও দাবি, ৪০ মাইক্রনের উপরে যে ক্যারিব্যাগ তার দাম অত্যন্ত বেশি, সেই অতিরিক্ত দাম ক্রেতারা দিতে চান না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy