প্রতীকী ছবি।
ফুটবল ম্যাচে খেলার সময় ধাক্কা লেগে মাঠেই হাত ভেঙে গিয়েছিল এক খেলোয়াড়ের। দ্রুত অ্যাম্বুল্যান্সের জোগাড় না হওয়ায় সেই অবস্থায় অন্তত কুড়ি মিনিট মাঠেই পড়েছিল সেই খেলোয়াড়। এমনটাই অভিযোগ সহ খেলোয়াড় ও অন্যদের। সোমবার জলপাইগুড়ি পুলিশ লাইন মাঠের ঘটনা।
গত মঙ্গলবার থেকে কোতোয়ালি পুলিশের ব্যবস্থাপনায় জলপাইগুড়ি পুলিশ লাইনের মাঠে শুরু হয়েছে ‘হিমাল তরাই ডুয়ার্স স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল’। সোমবার অন্য ইভেন্টের পাশাপাশি মহিলা ফুটবল ম্যাচ ছিল ঘুঘুডাঙ্গা স্কুল ও বাহাদুর মুন্না’স হ্যাপি হোম স্কুলের। সেই ম্যাচে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগে হ্যাপি হোম স্কুলের গোলকিপার গীতিকা রায়ের। সহ খেলোয়াড়দের দাবি, তখনই হাত ভেঙে যায় গীতিকা রায়ের, মাঠেই সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে সে। ওই অবস্থায় গীতিকা প্রায় কুড়ি মিনিট মাঠেই পড়েছিল বলে অভিযোগ তার সহ-খেলোয়াড় সুমি রায়ের। কোনও অ্যাম্বুল্যান্স না থাকায় গীতিকাকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্কুল ফুটবল টিমের দায়িত্বে থাকা স্কুলের অশিক্ষক কর্মী সুজয় মণ্ডল। তাঁর দাবি, খেলার মাঠে অ্যাম্বুল্যান্স বা স্ট্রেচারের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। প্রায় কুড়ি মিনিট পরে পুলিশের একটি গাড়িতে তাকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। একই কথা বলেছে অন্য খেলোয়াড়রাও।
যদিও অ্যাম্বুল্যান্স না থাকার কথা মানতে চাননি জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার। তিনি জানান, মাঠে অ্যাম্বুল্যান্স ছিল। তিরন্দাজি বিভাগের এক খেলোয়াড় অসুস্থ হওয়ায় তাকে নিয়ে সেটি হাসপাতালে যায়। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটে। মিনিট পাঁচেকের মধ্যে পুলিশের অ্যাম্বুল্যান্স এনে আহত ছাত্রীকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা হয় বলে জানান আইসি। খেলার মাঠে কোনও চিকিৎসক না থাকলেও প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ দিকে এই ঘটনায় অব্যবস্থার অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। রেফারি মলয় কুণ্ডু বলেন, ‘‘যা হয়েছে তা দুর্ভাগ্যজনক। আয়োজকদের বলেছি অ্যাম্বুল্যান্স না থাকলে খেলা পরিচালনা করা যাবে না।’’ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব কুমার দত্ত বলেন, ‘‘পুলিশ লাইনে ঠিক কী ঘটেছে জানা নেই। লোকমুখে শুনেছি। তবে একটি বড়মাপের খেলার আয়োজনে অ্যাম্বুল্যান্স, চিকিৎসক, মেডিকেল টিম থাকা অত্যাবশ্যক।’’ এ দিন হাসপাতালে গীতিকাকে দেখতে হাসপাতালে যান আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্রীটির হাতের হাড় দু’টুকরো হয়েছে। অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় তাঁকে এ দিন বিকেলেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy