ফাঁড়ি: এই ফাঁড়িতেই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন পুলিশকর্মীরা। নিজস্ব চিত্র
দিনদিন জ্বরের রোগী বাড়ছে শিলিগুড়ি পুরসভা এলাকায়। এরমধ্যেই শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পানিট্যাঙ্কি পুলিশ ফাঁড়ির একজন এসআই সহ ৪ জন পুলিশ কর্মী জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি রয়েছেন এএসআই রমেন রায়। পুলিশ কর্মী বিনয়চন্দ্র রায়, নরেন বর্মন এবং বিশ্বজিৎ ঘোষও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
এ দিন রমেন রায় বলেন, ‘‘ফাঁড়ির আশেপাশে জঙ্গল ও নির্মীয়মান ভবন থেকে মশার উপদ্রব বাড়ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’’ বিনয়চন্দ্র রায় জ্বর নিয়ে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি। নরেন বর্মন ও বিশ্বজিৎ ঘোষ জ্বর নিয়ে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পরে তারা অন্যত্র ভর্তি হন। সেবক রোডের একটি নির্মীয়মান ভবনের পাশেই রয়েছে পানিট্যাঙ্কি পুলিশ ফাঁড়ি। সেই ভবনের নীচে জমা জল থেকেই মশার সংখ্যা বাড়ছে বলে পুলিশের দাবি। ফাঁড়ির পিছনের জঙ্গলও পুরসভা ফাই করছে না বলে অভিযোগ। মহাকালপল্লি এলাকায় নদীর পাশের এলাকায় ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। তাঁরা জানান, নর্দমাগুলোতে মশা নিয়ন্ত্রণে তেল স্প্রে করা হচ্ছে না।
স্থানীয় কাউন্সিলর তথা মেয়র পরিষদ (ট্রেড লাইসেন্স) কমল অগ্রবাল বলেন, ‘‘সাফাই নিয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্মীয়মান ভবনে জমা জল সাফাই করার দায়িত্ব মালিকের। প্রয়োজনে পুরসভা আইনি ব্যবস্থা নেবে।’’
কয়েক দিন আগে সেবক রোডের একটি বাড়িতে টায়ার, ড্রামে জল জমে থাকলেও তা সাফাই করা হয়নি। বাড়িটি জঙ্গলে ভরে গেলেও দীর্ঘ দিন থেকে সংস্কার করা হয়নি। স্থানীয়রা জানানোয় পরে পুরসভার পক্ষ থেকে তা সংস্কার হয়েছে। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সেবক রোডের বেশ কিছু এলাকায় জল জমে থাকে বলেও অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy