প্রতীকী ছবি।
কোয়রান্টিন সেন্টার থেকে কোভিড হাসপাতাল, একাধিক কনটেনমেন্ট জ়োনের চারপাশের পাহারা থেকে শহরের বাজার, লোকালয়ে টহল, চেকগেট নিয়ন্ত্রণ—দিনভর রাস্তায় থাকছেন পুলিশকর্মীরা, ঘুরছে পুলিশের গাড়ি। করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশকেও ‘ফ্রন্টলাইন ওয়াকার্স’ হিসাবে ধরা হয়েছে। দিনভর করোনা মোকাবিলার কাজ ছাড়াও প্রতিটি থানা ফাঁড়িতে দিনভর আনাগোনা নানা মানুষের। সংক্রমণের আশঙ্কায় এখন স্যানিটাইজ় করার জন্য দমকলের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে পুলিশকে। কিন্তু প্রতিদিন চাপ বাড়ছে দমকলের উপর। এদিকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশকর্মীদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। তাই এ বার নিজেদের অত্যাধুনিক স্যানিটাইজ় ইউনিট তৈরি করার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে শিলিগুড়ি পুলিশের।
তাহলে নিয়মিত সর্বত্র স্যানিটাইজ়েশন করে সময় থাকলে অন্য সরকারি দফতর বা বিভাগকেও সাহায্য করতে পারবে ইউনিট। এখন শিলিগুড়ি পুলিশে সংক্রমণের ঘটনা না ঘটলেও সন্দেহের জেরে টেস্টের করানো হয়েছিল একাধিক পুলিশ কর্মীদের। বাগডোগরা থানার ওই পুলিশ কর্মীদের টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ এলেও কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না পুলিশকর্তারা। শিলিগুড়ি শহরে সংক্রমণের হার বেড়ে চলায় আরও বেশি সতর্ক হতে বলা হচ্ছে পুলিশকর্মী, অফিসারদের।
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার ত্রিপুরারি অথর্ব বলেন, ‘‘পুলিশ কর্মী, অফিসারেরা সামনে থেকে করোনা মোকবিলায় কাজ করে চলেছেন। স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং বিধিগুলি মেনে চলতে হবে। আমরা নিয়মিত দমকলকে দিয়ে গাড়ি, থানা, ফাঁড়ি, ট্রাফিক গার্ড এবং অন্য অফিসগুলি স্যানিটাইজ় করাচ্ছি। আমরা নিজেদের একটি ইউনিট চালু করার কথা ভাবছি।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, এখন পুলিশের প্রতিটি ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জেরা দমকল বিভাগের চিঠি দিয়ে ইউনিট স্যানিটাইজ় করে দেওয়ার অনুরোধ করছেন। সেই চিঠি পাওয়ার পর সময় করে দমকলের নির্দিষ্ট ট্যাঙ্ক, গাড়ি, কর্মীরা এসে কাজ করছেন। কিন্তু এতে অনেক সময় কিছু দেরি হয়েই যায়। দমকলের উপরেও চাপ রয়েছে। নিয়মিত মেডিক্যাল কলেজ, কোভিড এবং সারি হাসপাতাল, কোয়ারান্টিন সেন্টার, শেল্টার হোম, কনটেনমেন্ট জ়োনে কাজ করতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের। বিভিন্ন সরকারি দফতর থেকেও স্যানিটাইজ়েশনের জন্য ডাকা হচ্ছে। দমকলের তরফেও সরকারি দফতর বা বিভাগগুলিকে বলা হচ্ছে, স্যানিটাইজ়েশনের জন্য কিছু পরিকাঠামো তৈরি রাখতে।
সম্প্রতি রাজ্য পুলিশের তরফে একটি নির্দেশ জেলা পুলিশ এবং কমিশনারেটগুলিতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘ফ্রন্টলাইন ওয়াকার্স’ হিসাবে পুলিশকর্মীদের করোনা আক্রান্ত এলাকা এবং সংক্রমিতদের আশেপাশে যেতে হচ্ছে। তাই প্রত্যেক ইউনিটকে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন হলেই অফিসারদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধও নিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy