Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
New Commissioner

যানজট, পাচার রোখাই মূল কাজ

যানজট, পাচার রোখাই মূল কাজ নয়া কমিশনারের।

স্বাগত: নতুনকে (ডান দিকে) অভ্যর্থনা পুরনোর। নিজস্ব চিত্র

স্বাগত: নতুনকে (ডান দিকে) অভ্যর্থনা পুরনোর। নিজস্ব চিত্র

কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৮ ০৫:৫৮
Share: Save:

‘ট্র্যাফিক থেকে ট্র্যাফিকিং’। সঙ্গে যোগ করুন স্থানীয় অপরাধ থেকে মাদক পাচার। শিলিগুড়ির নতুন পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই কাজের অগ্রাধিকারের বিষয়গুলি অনেকটাই পরিষ্কার করে দিলেন ভরতলাল মিনা। বুধবার সকালে দায়িত্ব নেওয়ার পর কমিশনারেটের অফিসারদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন নতুন পুলিশ কমিশনার। পুলিশ সূত্রের খবর, দুপুরে তিনি ডিসি পদমর্যাদার অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন। তার পরে এসিপি এবং থানাভিত্তিক আইসি, ওসিদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রতিটি থানা এলাকার কোথায় কী পরিস্থিতি, কী ধরনের অপরাধ প্রবণতা রয়েছে, সেগুলি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।

নতুন পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘শিলিগুড়ি শহরের যানজট সমস্যার কথা শুনেছি। এটা একটা বড় সমস্যা। আমাদের ট্র্যাফিক ম্যাপিং করতে হবে। কোন এলাকায় কতটা সমস্যা, তা চিহ্নিত করাটা জরুরি। তার পরে সেই এলাকার বাসিন্দা, ব্যবসায়ীদের নিয়ে ট্র্যাফিক পুলিশ সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবে।’’ তিনি জানান, ‘‘আমি শুনেছি, শিলিগুড়ির রাস্তাঘাটের তুলনায় গাড়ি অনেক বেশি। কিছু গ্রিন ও রেড লেন তৈরি করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ স্লোগানকে রেখে কাজ চলছে। শহরে আরও বেশি করে ট্রাফিক সচেতনতা, প্রচারে জোর দেওয়া হবে।

পুলিশ সূত্রের খবর, উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত শিলিগুড়ি ‘চিকেনস নেক’ হিসেবে পরিচিত। একসময় আলফা, কেএলও-সহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যদের আশ্রয়, চিকিৎসার জন্য শিরোনামেও ছিল। পরবর্তীতে তা বন্ধ হলেও নারী, সোনা এবং মাদক পাচারের মতো বিষয়গুলি সামনে এসেছে। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাস, এনজেপি স্টেশন এবং বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে দেশের যে কোনও প্রান্তে পৌঁছনো সম্ভব। শিলিগুড়ির খুব কাছে রয়েছে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, চিন সীমান্ত। এই সুযোগেই পাচারকারীদের একাংশ সক্রিয় বলে অভিযোগ। গত কয়েক বছরে বিমানবন্দরকে ব্যবহার করে বেশ কয়েক দফায় তরুণীদের পাচারের চেষ্টাও সামনে এসেছে। গত দু’বছরে বহু কোটি টাকার সোনা উদ্ধারও হয়েছে এই সব এলাকা থেকে। ধরা পড়েছে মাদকও।

দু’দিন আগেই এনজেপি থানার পুলিশের হাতে ২০০ কেজি গাঁজা-সহ তিন জন ধরা পড়েন। পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘এই ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ পুলিশের প্রধান কাজ। প্রতিটি থানা, অফিসারেরা তো বটেই, এই কাজে বাসিন্দাদেরও সাহায্য প্রয়োজন।’’

কমিশনারেটের কয়েক জন অফিসার জানান, মাদক, নারী, সোনা ছাড়াও বেআইনি বালিপাথর তোলা, গরু পাচার এবং চোরাই তেলের ব্যবসা শিলিগুড়ির কিছু অংশ চলে। নতুন পুলিশ কমিশনার নিশ্চয়ই বিষয়গুলিতে নজর দেবেন, আশা রয়েছে তাঁদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Police Siliguri Police Commissioner
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE