Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

কম্পনের জের, ছুটি বেসরকারি স্কুলেও

ফের ভূমিকম্পের জেরে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি শহরের সব বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ছুটি দেওয়া হল। সোমবার সরকারি স্কুলে ছুটি দেওয়া না হলেও উপস্থিতির হার ছিল খুবই কম। এই অবস্থায়, আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকে জলপাইগুড়ি শহরের বিএড কলেজে চলবে পুর ভোটের গণনা। সোমবার সকাল থেকে ঘোরের মধ্যে ছিল শহর। একই প্রশ্ন ফিরেছে মুখেমুখে—ফের ভূমিকম্প হবে কি?

জলপাইগুড়িতে একটি স্কুলে ছুটি দেওয়ায় ফাঁকা চত্বর। —নিজস্ব চিত্র।

জলপাইগুড়িতে একটি স্কুলে ছুটি দেওয়ায় ফাঁকা চত্বর। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৫ ০২:১৫
Share: Save:

ফের ভূমিকম্পের জেরে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি শহরের সব বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ছুটি দেওয়া হল। সোমবার সরকারি স্কুলে ছুটি দেওয়া না হলেও উপস্থিতির হার ছিল খুবই কম। এই অবস্থায়, আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকে জলপাইগুড়ি শহরের বিএড কলেজে চলবে পুর ভোটের গণনা।

সোমবার সকাল থেকে ঘোরের মধ্যে ছিল শহর। একই প্রশ্ন ফিরেছে মুখেমুখে—ফের ভূমিকম্প হবে কি? আতঙ্ক এতটাই গভীরে জাঁকিয়ে বসেছে যে, ভারী গাড়ির ঝাঁকুনিতে চারপাশ সামান্য কেঁপে উঠলেও ঘরবাড়ি, দোকান ছেড়ে লোকজন রাস্তায় নামছেন। একই আতঙ্কে এ দিন ময়নাগুড়ি বালিকা বিদ্যালয়ে ছুটি দেওয়া হয়। রবিবারের কম্পনে হাইস্কুলের ছাদের চাঙর খসে পরে। এ দিন স্কুল খুলতে ওই পরিস্থিতি দেখে ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়ে যায়। শুধু শহরের স্কুলগুলিতেই ছুটি বা কম উপস্থিতি ছিল এমন নয়, শহর লাগোয়া স্কুলের ছবিও একই ছিল। বানিয়াপাড়া প্রাইমারি স্কুলে মাত্র পাঁচ জন পড়ুয়া হাজির হয়েছিল। শিক্ষকেরা জানান, সোমবার সন্ধে ৬টা ১০ মিনিটের ভূমিকম্পের পরে আজ, মঙ্গলবার ছাত্রদের দেখা মিলবে না।

আতঙ্কের পরিস্থিতির কথা অস্বীকার করেননি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ধরতিমোহন রায়। তিনি বলেন, “আতঙ্কিত অভিভাবকেরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে সাহস পাচ্ছেন না। বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা সচিবকে জানিয়ে কয়েক দিন ছুটি ঘোষণার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেছি।” শুধু স্কুল নয়। উপস্থিতির হার কমেছে বিভিন্ন অফিসে। যে কর্মীরা দফতর সামলাচ্ছেন, তাঁদের বারবার বাইরে বেরিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে। বাড়ির বয়স্ক এবং শিশুদের মধ্যে মাথা ঘোরা, জ্বরের সমস্যা দেখা দিয়েছে। জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গোটা শহর যেন ট্রমায় ভুগছে। ভয়ে সময় কাটছে প্রত্যেকের।” রবিবার ভূমিকম্পে প্রাচীন জল্পেশ মন্দিরে ফাটল দেখা দেয়। তপনবাবু জানান, জলপাইগুড়ি শহরের শরিফমাজার পুরাতন মসজিদেও বড়সড় ফাটল দেখা গিয়েছে। আরও কোনও প্রাচীন স্থাপত্যের ক্ষতি হয়েছে কিনা তা জানতে খোঁজ শুরু হয়েছে।

এ দিকে আজ, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিএড কলেজে শুরু হবে পুর ভোট গণনার কাজ। এর আগে ২০১০ সালের ভোট গণনা দেখতে শহরের বাসিন্দারা উৎসবের মেজাজে হাজির হয়েছেন গণনা কেন্দ্রের আশপাশে। ভূমিকম্পের আতঙ্ককে উপেক্ষা করে এ বার তেমন উৎসাহ দেখা যায় কিনা সেটাই দেখার। পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “পরপর কম্পনের জেরে আতঙ্ক কিছুতে কাটছে না।” তবে আতঙ্ক থাকলেও রাজনৈতিক দলের কর্মীদের মধ্যে কোন দল ক্ষমতায় আসছে তা নিয়ে দিনভর বিতর্ক হয়েছে। ওয়ার্ড ধরে বিশ্লেষণ করতে দেখা গিয়েছে প্রার্থীদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE