Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

নোট নেই, সমস্যা পরীক্ষার ফর্ম পূরণে

নোটের গেরোয় ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে রীতিমতো ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা মালদহের চাঁচল মহকুমার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষেরও। কেননা পুরনো পাঁচশো, এক হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চাঁচল শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৩২
Share: Save:

নোটের গেরোয় ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে রীতিমতো ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা মালদহের চাঁচল মহকুমার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষেরও। কেননা পুরনো পাঁচশো, এক হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। তাই পড়ুয়াদের কেউ দু’হাজার টাকার নোট, কেউ জোগাড় করেছে ১০ টাকার কয়েন। কিন্তু ভাদো বিএসবি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্বাস আলির সাফ কথা, ‘‘নতুন দু’হাজার টাকা নিয়ে বাকি টাকা ফেরত দেব কী ভাবে। আর কয়েন কোথায় জমা দেব?’’

খুচরোর অভাবে একই রকম সঙ্কটে মহকুমার বাকি স্কুলগুলি-সহ পড়ুয়ারাও। স্কুলগুলি সূত্রেই জানা গিয়েছে, প্রায় প্রতিটি স্কুলেই মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক মিলিয়ে গড়ে পাঁচশো, ছ’শো পরীক্ষার্থী। ফর্ম পূরণের জন্য ছাত্র পিছু তিনশো টাকা আরটিজিএস করে বোর্ডের অ্যাকাউন্টে পাঠাতে হয়। বোর্ডের অ্যাকাউন্ট রয়েছে ইউবিআই ব্যাঙ্কে। কিন্তু স্কুলগুলির নিজেদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে অন্য ব্যাঙ্কে। ফলে পুরনো পাঁচশো, এক হাজার টাকা নিয়ে তা অন্য ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে নতুন টাকা পেতে সময় পেরিয়ে যাবে। হরিশ্চন্দ্রপুরের চণ্ডীপুর ও চাঁচলের খরবা এগ্রিল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলি ও হোসেন আলিও জানান, বাধ্য হয়ে ১০ টাকার কয়েন নিতে হচ্ছে। কিন্তু তা বদলে টাকা জোগাড় করতে নাজেহাল হতে হচ্ছে। তাঁরা বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের সমস্যাটা বুঝতে পারছি, কিন্তু আমরা অসহায়।’’

রতুয়ার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সোহেল আনোয়ার, হরিশ্চন্দ্রপুরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অনিমেষ মণ্ডলরা বলেন, ‘‘পড়াশোনা বাদ দিয়ে এখন আমাদের খুচরোর জন্য ছুটে বেড়াতে হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

demonetisation form fill up
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE