Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Public Harassment

দুয়ারে সরকার শিবিরে হয়রানির অভিযোগ

মঙ্গলবার প্রকল্প শুরুর দিন ময়নাগুড়ি ব্লকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি। ঝুঁকি না নিয়ে রাতেই দোমোহনী এবং পদমতি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে শুরু করেন নেতারা।

অপেক্ষা:  শিবিরে নেই কোনও নির্দিষ্ট কাউন্টার। হয়রানির শিকার শহরবাসী। শিলিগুড়ির কিরণচন্দ্র ভবনে।  ছবি: বিনোদ দাস

অপেক্ষা: শিবিরে নেই কোনও নির্দিষ্ট কাউন্টার। হয়রানির শিকার শহরবাসী। শিলিগুড়ির কিরণচন্দ্র ভবনে। ছবি: বিনোদ দাস

অনির্বাণ রায় ও সৌমিত্র কুণ্ডু
জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:২৬
Share: Save:

জলপাইগুড়িতে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পে ভিড় বাড়াতে গলিগলি ছুটছেন তৃণমূল নেতাদের অনেকেই। আবার শিলিগুড়িতে কর্মসূচি কোথায় হচ্ছে কোনও প্রচার নেই বলে অভিযোগ।

জলপাইগুড়ি

মঙ্গলবার প্রকল্প শুরুর দিন ময়নাগুড়ি ব্লকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি। ঝুঁকি না নিয়ে রাতেই দোমোহনী এবং পদমতি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে শুরু করেন নেতারা। বুধবার ময়নাগুড়ি ব্লকের দুই কর্মসূচিতেই ভিড় দেখা গিয়েছে। জলপাইগুড়ি পুরসভার প্র‍য়াস হলে আজ, বৃহস্পতিবার ফের কর্মসূচি হবে। কর্মসূচিতে ভিড় বাড়াতে শহরের পাঁচটি ওয়ার্ডে একসঙ্গে প্রচার চলছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী এ দিন বলেছেন, ‘‘দুয়ারে সরকার প্রশাসনের কর্মসূচি। আমরা দলের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচিকে সফল করতে পথে নেমেছি।’’ পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য সন্দীপ মাহাতো বলেন, ‘‘এই প্রকল্পে একাধিক প্রকল্পের সুযোগ নিতে আবেদন করা যায়। দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে কাউকে যেন ফিরে আসতে না হয় সেটাও দেখছি।’’

শিলিগুড়ি

বুধবার শিলিগুড়ি পুরসভার কিরণচন্দ্র ভবনে ২ নম্বর বরোর তরফে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির শিবির হয়। অথচ অনেকেই তা জানতেন না। যেখানে শিবির হচ্ছে সেখানে কোন টেবিলে কোন পরিষেবা মিলছে, তা জানাতে কোনও ফ্লেক্স বা চিহ্নিতকরণ করা না থাকায় হয়রানির শিকার হতে হয় বাসিন্দাদের। শিবিরে গিয়ে এই পরিস্থিতি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার। সে সময় শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক প্রিয়দর্শিনী এস সেখানে ছিলেন। তাঁকে সমস্যা নিয়ে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘শিবিরে কোন টেবিলে কোন পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে, সেটা কোথাও লিখে জানানোর ব্যবস্থা করা হয়নি। রাজ্যস্তরে কবে থেকে কবে এই কর্মসূচি চলবে, তা প্রচার করা হলেও স্থানীয় স্তরে কোথায় কোন দিন শিবির হবে তা মানুষ জানতে পারছেন না। মহকুমাশাসককে জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’ এ নিয়ে মহকুমাশাসকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। মেসেজেরও উত্তর দেননি।

যদিও প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য আগের দিনই জানিয়েছিলেন, সরকারি বিভিন্ন সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বরো ভিত্তিতে শিবিরের আয়োজন করতে বলা হয়েছে। কিন্তু এ দিন শিবিরে উপস্থিত আধিকারিক, কর্মীদের খাবার, পানীয় জলের ব্যবস্থাও যথাযথ ছিল না বলে অভিযোগ।

বরো অফিসার বাদল রায় বলেন, ‘‘যাতে সমস্যা না হয় তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE