Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বাঘের চিহ্ন নেই, তবু চিন্তিত চিলৌনি

বনমন্ত্রী বিনয় বর্মন বলেছেন, ‘‘কারও বাঘ দেখার দাবি আমরা পুরোপুরি নাকচ করছি না। কিন্তু, স্পষ্ট কিছু প্রমাণ না মিললে বাঘ ওই চা বাগানে ঘোরাফেরা করেছে, সেটা মানা সম্ভব নয়।’’

বন্য: নেওড়ার জঙ্গলে ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল এই ছবি।

বন্য: নেওড়ার জঙ্গলে ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল এই ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি ও মালবাজার শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৮ ০৫:১১
Share: Save:

এক বছর আগে নেওড়াভ্যালির বনাঞ্চলের আলগাড়ায় বাঘের দেখা পেয়ে ক্যামেরাবন্দি করে শোরগোল ফেলেছিলেন গাড়ি চালক আনমোল ছেত্রী। এ বার সেই বন থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার নীচে চিলৌনি চা বাগানে বাঘ দেখার দাবি করলেন এক গাড়ি চালক কর্তব্য প্রধান ও তাঁর সঙ্গী। কিন্তু আগের মতো ছবি নেই। পায়ের ছাপও মেলেনি। ফলে, চিতাবাঘের চকিতে চলে যাওয়া দেখে বাঘ ভেবে ভুল হয়েছে কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

বনমন্ত্রী বিনয় বর্মন বলেছেন, ‘‘কারও বাঘ দেখার দাবি আমরা পুরোপুরি নাকচ করছি না। কিন্তু, স্পষ্ট কিছু প্রমাণ না মিললে বাঘ ওই চা বাগানে ঘোরাফেরা করেছে, সেটা মানা সম্ভব নয়।’’

তবে শুক্রবার সকাল থেকে চিলৌনিকে ঘিরে বনদফতরের তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। চিলৌনি চা বাগানের কারখানার আগে যে এলাকাতে কর্তব্য প্রধানরা বাঘের দেখা পেয়েছিলেন বলে দাবি, সেই এলাকা সহ লাগোয়া পুরো এলাকা চষে ফেলেন বনকর্মীরা। কিন্তু এ দিন কোনও বাঘের পায়ের ছাপ বা পাগ মার্কের হদিশ পান নি বনকর্মীরা। গরুমারা বনবিভাগের ডিএফও নিশা গোস্বামী বলেন, “আমরা এখনও পাগমার্ক পাইনি। এলাকাতে আগে কোনওদিন রয়্যাল বেঙ্গল দেখা যাওয়ারও তথ্য নেই। তবুও নজরদারি থাকছে।” উত্তরবঙ্গের সাম্মানিক ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন পি ডি ভুটিয়া বলেন, ‘‘চালকের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। ও তো জোর দিয়ে বলছে বাঘই দেখেছে! নেওড়ার উঁচু এলাকায় প্রবল ঠান্ডা পড়েছে। তাই সেখান থেকে অপেক্ষাকৃত উষ্ণ চিলৌনি এলাকায় বাঘ নেমেছে কি না, সেটাও দেখতে হবে। কারণ, বাঘ ঘোরাফেরা করলে কিছু নমুনা মিলবেই। দেখা যাক তদন্তে কী মেলে!’’

কর্তব্য প্রধানের দাবি, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ চা বাগানের প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়কের উপরে বাঘটিকে দেখেছেন। রাস্তা পেরিয়ে চা বাগানের ভেতরে ঢুকে গিয়েছে বলে দাবি তাঁদের। সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই বন্ধু সুমন রাই এবং দীপেন্দ্র ভুজেল। তিন জনে একটি গাড়িতে করে সামসিং থেকে চিলৌনি হয়েমেটেলি বাজারে যাচ্ছিলেন। কর্তব্য বলেন, ‘‘প্রথমে আমি দেখি। পরে ওঁদের দেখাই। চিতাবাঘ আমি চিনি। যতদূর মনে হচ্ছে ওটা বড় বাঘ। চিতাবাঘ নয়।’’

চিলৌনি চা বাগানের ম্যানেজার পারমিন্দার জানান, তিনি কোনওদিন এলাকায় চিতাবাঘই দেখেননি। তিনি বলেন, ‘‘শ্রমিকরা কিন্তু কেউ কখনও বাঘ দেখেননি।’’ বাগানের শ্রমিক মিনা মঙ্গর বলেন, “চিতাবাঘ আছে। বাঘ কোথায়! তবুও বেশ ভয় করছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tiger Tea Garden Chilouni Controversy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE