ক্ষোভ: উত্তেজনা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। নিজস্ব চিত্র
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে আগেই একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। এ বার ছাত্রদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেল।
বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যে খেলার মাঠ রয়েছে, সোমবার ভোরে সেখানে জবরদস্তি ঢুকে হস্টেলের এক পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পরে ‘হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে’, এই দাবিতে কয়েকশো পড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্বে থাকা ‘ওয়াচ অ্যান্ড ওয়ার্ড’ বিভাগ ঘেরাও করেন। ওই বিভাগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ঘরের চাবি থাকে। বেলা সাড়ে ১১টা অবধি ঘেরাও চলে। পরে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় আশ্বাস মিললে ঘেরাও ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হতে বেলা ১২টা বেজে যায়।
রেজিস্ট্রার দিলীপ সরকার বলেন, ‘‘নিরাপত্তা নিয়ে ছাত্রদের দাবি যুক্তিসঙ্গত। উপাচার্য ফিরলে ১৫ দিনের মধ্যে বৈঠক করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ক্যাম্পাসের মাঠে বহিরাগতরা খেলতে পারবে না। নিরাপত্তারক্ষীদের সতর্ক করা হয়েছে।’’
সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আছে। তাই ছাত্ররা ভোরে অনুশীলনে নেমেছিলেন। তখন বহিরাগত কিছু যুবক মাঠে ফুটবল খেলা শুরু করেন বলে অভিযোগ। ক্রিকেট পিচ নষ্ট হতে পারে, এই আশঙ্কায় তাঁদের এক দিকে সরে খেলতে বলেন হস্টেলের ছাত্ররা। বহিরাগতরা তা শুনতে চাননি। অভিযোগ, উল্টে হস্টেলের এক ছাত্রকে তাঁরা মারধর করেন। এর পরে পড়ুয়ারা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। কয়েক জন ব্যাট-উইকেট হাতে নিয়েও পাল্টা হামলার হুমকি দেন। ঘেরাও করা হয় নিরাপত্তা বিভাগ।
ছাত্রদের দাবি, ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি, উত্যক্ত করার ঘটনা ঘটেছে এর আগে। কর্তৃপক্ষ বারবার ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়ার পরেও কেন বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, সেই প্রশ্নও তোলেন ছাত্ররা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অফিসার জানান, সব দিকে পাঁচিল না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। তিনি এ-ও জানান, স্থানীয় যুবকরা দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত সময়ের বাইরে সেখানকার মাঠে খেলাধুলো করেন। তা নিয়ে অতীতে গোলমাল হয়নি বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জনের দাবি। তবে এলাকার কয়েক জন বাসিন্দা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে বিনা অনুমতিতে বাইরের কারও খেলাধুলো করতে পারবে না— এমন বিজ্ঞপ্তি কখনও জারি করা হয়নি। নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে বহিরাগতরা যাতে খেলতে না পারেন, সে দিকে বাড়তি নজর রাখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy