Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

উত্তরে বৃষ্টি চলছেই, দিনভর বিঘ্ন কাজে

এ দিন সকাল যত গড়িয়েছে আকাশ ততই কালো হয়েছে ডুয়ার্সে।

শুভ্র: শিলাবৃষ্টিতে সাদা রাস্তা। ময়নাগুড়িতে। —নিজস্ব চিত্র

শুভ্র: শিলাবৃষ্টিতে সাদা রাস্তা। ময়নাগুড়িতে। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৯ ০৪:৫৯
Share: Save:

বৃষ্টি-দুযোর্গের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকল বৃহস্পতিবারেও।

বুধবারের বৃষ্টিতে চা বাগানে হাসি ফুটলেও এ দিন বৃহস্পতিবারও টানা বৃষ্টি চলতে থাকায় কাজে যোগ দিতে পারলেন না অনেক চা শ্রমিকই। কোচবিহার, আলিুরদুয়ার, মালবাজার থেকে জলপাইগুড়ির রাস্তায় এ দিন তুলনামূলক ব্যস্ততা দেখা গিয়েছে কম। লাটাগুড়িতে পর্যটকদের সাফারি গাড়িও এ দিন ছিল হাতে গোনা। বৃষ্টির সঙ্গে কনকনে হাওয়ায় ডুয়ার্সের বাসিন্দাদের বেশিক্ষণ রাস্তায় থাকতে দেয়নি। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে দুর্যোগের মেঘ কাটতে শুরু করবে। যদিও, এ দিন সন্ধের পরও আকাশে কালো মেঘ দেখা গিয়েছে। বৃষ্টিও হয়েছে কয়েক পশলা।

এ দিন সকাল যত গড়িয়েছে আকাশ ততই কালো হয়েছে ডুয়ার্সে। বেলা সাড়ে দশটা থেকেই মালবাজার, চালসা, ডামডিম ওদলাবাড়ি জুড়ে বৃষ্টি শুরু হয়। বেলা ১২টার পর বৃষ্টির তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। গত দু’দিন ধরে দিনের বেলায় বৃষ্টির জেরে বিপাকে পড়েছেন নির্মাণ শ্রমিকরা। বৃষ্টিতে কাজ বাতিল হয়ে পড়ায় দিনমজুরি মিলছে না বলেই দাবি তাদের। ডুয়ার্সের বর্ধিষ্ণু হাট চালসার মঙ্গলবাড়ি হাটও এ দিন বৃষ্টিতে মাটি হয়ে যায়।

আলিপুরদুয়ারে বুধবার বেলার পর বৃষ্টি খানিকটা কমলেও, গভীর রাতে ফের একবার বৃষ্টি নামে আলিপুরদুয়ারে। বৃহস্পতিবার সকালের দিকেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয় জেলার বিভিন্ন জায়গায়৷ তারপর খানিকক্ষণ মেঘ ও রোদের লুকোচুরি খেলার পর দুপুর দুটো নাগাদ আলিপুরদুয়ারে ঘন অন্ধকার নেমে আসে। শুরু হয় জোর বৃষ্টি। এর জেরে দিনের বেলাতেই আলো জ্বলে ওঠে রাস্তায় চলা বিভিন্ন যান-বাহনে। দু’দিন ধরে চলা দুর্যোগের জেরে বৃহস্পতিবারেও শীতের আমেজ ছিল গোটা আলিপুরদুয়ার জেলাতেই।

সকাল থেকেই বৃষ্টি ছিল কোচবিহারেও। চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা ঝিরঝিরে বৃষ্টি চলতে থাকে। সঙ্গে ঠান্ডা হাওয়া। দুইয়ে মিলে ফেব্রুয়ারির শেষে ঠান্ডায় কাবু হয়ে জেলা। বেলা ১০টার পরে রোদ উঠলেও দুপুরে আবার একই আবহাওয়া তৈরি হয়। দুপুরে বেশ খানিকক্ষণ বৃষ্টি হয়। বিকেলে বৃষ্টি কমে গেলেও আকাশের মুখ ছিল ভার। আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, রাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সব মিলিয়ে এ দিন দশ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, “বঙ্গোপসাগরের ওপরে থাকা বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত দুর্বল হচ্ছে। জলীয় বাষ্পের জোগানও বন্ধ হবে। বৃষ্টিও কমবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rain Hailstorm North Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE