নবদ্বীপ থেকে পুজোর ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে দার্জিলিংয়ে এসেছিলাম। অক্টোবর মাস, হালকা ঠান্ডার মধ্যে শৈলশহরের আনাচে কানাচে সমস্ত স্পটে ঘুরব ভেবে সবাই ঠিক করে এসেছিলাম। পরিবারের সাত জন। দারুণ ঘুরব ভেবেছিলাম। অষ্টমীর দিনই শিলিগুড়ি পৌঁছে ওই দিনই গাড়িতে পাহাড়ে উঠি। কিন্তু নবমীর সকাল থেকে আবহাওয়া দেখে মন খারাপ হয়ে গেল। ঠান্ডা তো রয়েছে, কিন্তু এতো শরতের ঠান্ডা নয়, যেন বর্ষাকাল!
গাড়ি প্রায় নেই। লোকজন শূন্য, দোকানপাট প্রায় বন্ধ, অন্ধকার আচ্ছন্ন। মনটাই ভেঙে গেল। আর যা বৃষ্টি হচ্ছে তাতে ছাতা ছাড়া কোথাও যাওয়া যাচ্ছে না। অল্প কিছু গাড়ি আছে। তাও অনেক ভাড়া চাইছে। তাই বেশিরভাগ সময়টাই হোটেলে কাটছে। ছাতা মাথায় হেঁটে চিড়িখানা এবং ম্যাল চৌরাস্তায় গিয়েছি। কিন্তু, সেই ছবির ম্যাল মনে হচ্ছে না। ফাঁকা। সুনসান। টানা ঘ্যানঘেনে বৃষ্টি। আর ভাল লাগছে না। চার দিন থাকব ভেবেছিলাম। এদিন সবাই মিলে মোটামুটি ঠিক করেছি, আজ, বৃহস্পতিবার সমতল, শিলিগুড়িতে নেমে যাব। পাহাড়ে না কি ধস। সেতুর, রাস্তার ক্ষতি হয়েছি শুনেছি। এমন হলে তো আটকে পড়তে পারি। ভয়ও করছে। আবার শিলিগুড়িতেও না কি টানা বৃষ্টি চলছে। পুজো ঘোরার মজাটাই মাটি হয়ে গেল। এবার ঘোরাটা ভাল একেবারেই হল না। ভবিষ্যতে আবার হয়ত শৈলশহরের আসার পরিকল্পনা করতে হবে। অনেক কিছু দেখাই হল না যে!
গাড়ি প্রায় নেই। লোকজন শূন্য, দোকানপাট প্রায় বন্ধ, অন্ধকার আচ্ছন্ন। মনটাই ভেঙে গেল। আর যা বৃষ্টি হচ্ছে তাতে ছাতা ছাড়া কোথাও যাওয়া যাচ্ছে না। অল্প কিছু গাড়ি আছে। তাও অনেক ভাড়া চাইছে। তাই বেশিরভাগ সময়টাই হোটেলে কাটছে। ছাতা মাথায় হেঁটে চিড়িখানা এবং ম্যাল চৌরাস্তায় গিয়েছি। কিন্তু, সেই ছবির ম্যাল মনে হচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy