Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

পাহাড়ে শিক্ষা হাবের আশায় বিস্তা

রাজু বিস্তা জানিয়েছেন, দার্জিলিং-এর পরিচিতি বিশ্ব জুড়ে। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এই চত্বরে হলে সেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে ছাত্রছাত্রীরা পড়তে আসতে পারবেন।

দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা। —ফাইল চিত্র

দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৯ ০৩:৫৫
Share: Save:

কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরেল নিশাঙ্কের সঙ্গে দেখা করে দার্জিলিঙে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি তুললেন সাংসদ রাজু বিস্তা। রবিবার তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ওই দাবিতে একটি স্মারকলিপিও দিয়েছেন। ২০০৭ সাল থেকে পাহাড়ে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি ওঠে। জিএনএলএফকে সরিয়ে পাহাড়ে ক্ষমতায় বসার পর থেকে মোর্চার নেতারা ওই দাবি তুলে আসছেন। পাহাড়ে ২০০৯ সাল থেকে পরপর পাহাড়ে বিজেপি’র সাংসদ রয়েছেন। ২০১৪ সাল থেকে কেন্দ্রেও বিজেপির সরকার। তার পরেও পাহাড়ে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়টি তৈরি না হওয়ায় পাহাড়বাসীর একাংশের মনে ক্ষোভ রয়েছে। এ বারও বিজেপি দার্জিলিংয়ে রেকর্ড ভোটে জিতেছে। নতুন করে বিজেপি সাংসদ ওই দাবি তোলায় অনেকে আবার আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন।

রাজু বিস্তা জানিয়েছেন, দার্জিলিং-এর পরিচিতি বিশ্ব জুড়ে। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এই চত্বরে হলে সেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে ছাত্রছাত্রীরা পড়তে আসতে পারবেন। তাঁদের কাছে দার্জিলিং একটি ‘এডুকেশন্যাল হাব’ হিসাবে গড়ে উঠবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। দার্জিলিঙের সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, পাহাড়ে শিক্ষার পরিকাঠামোর ঘাটতি রয়েছে। বহু প্রতিভাবান ছেলেমেয়েরা পাহাড় থেকে রাজ্যের বাইরে চলে যাচ্ছেন। গোটা দার্জিলিং কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা গেলে পাহাড় থেকে গোটা উত্তরবঙ্গের জন্য শিক্ষার মানে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হবে।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার পাহাড়ে দার্জিলিং হিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে। আলাদা ভাবে প্রেসিডেন্সি কলেজের ক্যাম্পাস তৈরি হচ্ছে পাহাড়ে। যা নিয়ে রাজ্যের তরফে বহুবার মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা পাহাড়ের শিক্ষার উন্নয়নের কাজ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন। সেখানে কেন্দ্রের তরফে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এখনও সাড়া মেলেনি। পাহাড়বাসীর একাংশ জানাচ্ছেন, লোকসভা ভোটের সাফল্য ধরে রাখার সঙ্গে সঙ্গে আগামী পুরভোট, বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রাখছে বিজেপি। তাই উত্তরবঙ্গের সাংসদকে দিয়ে নানা দাবি তুলে ময়দানে নামাচ্ছে। একই ভাবে রায়গঞ্জে এমস নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে কেন্দ্রকে রাজি করিয়ে বিজেপি সাংসদেরা প্রকল্পগুলি কতটা সফল ভাবে করতে পারেন, তা আগামীদিনেই বলা যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE