প্রতীকী ছবি।
সোমবার জেলায় চারশো পেরোল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এ দিনই নতুন করে ২৬ জন চিকিৎসক এবং পাঁচটি ভেন্টিলেটর পেল জলপাইগুড়ি। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে কাজে যোগ দিয়েছেন ২০জন নার্সিং কর্মীও।
স্বাস্থ্য ভবন থেকে নির্দেশিকা জারি করে ২৬ জনকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, চিকিৎসকেরা ইতিমধ্যেই কাজে যোগ দিতে শুরু করেছেন। চোখ,সার্জারি, স্ত্রীরোগ, শিশু, রেডিয়োলজি থেকে সব বিভাগেই চিকিৎসকেরা কাজে যোগ দিচ্ছেন বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে। মূলত করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ বলে দাবি। কোমর্বিডিটি যেমন শ্বাসকষ্ট, মধুমেহ, কিডনির সমস্যার মতো রোগ থাকলে করোনা প্রাণঘাতী হয়ে যেতে পারে। করোনা মোকাবিলায় কোমর্বিডিটি সামলানো বড় চ্যালেঞ্জ, সে কথা মাথায় রেখেই সব বিভাগের চিকিৎসক জেলায় পাঠানো হয়েছে বলে দাবি।
উত্তরবঙ্গের করোনা মোকাবিলার বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক (ওএসডি) সুশান্ত রায় বলেন, “এতজন চিকিৎসক পাওয়া নিঃসন্দেহে বড় সুখবর। আমরা সবরকম পরিকাঠামো নিয়ে প্রস্তুত রয়েছি। বাসিন্দাদেরও সচেতন হতে হবে।”
জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ৯৮ জন চিকিৎসক ছিলেন। নতুন করে ২৬ জন চিকিৎসকের কথা জেলাকে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, শেষ পর্যন্ত সংখ্যা কমে তেইশও হতে পারে। সে ক্ষেত্রেও ওই সংখ্যা মোটেও মন্দ নয় বলে দাবি। নতুন চিকিৎসকদের বর্হিবিভাগের দায়িত্বও দেওয়া হবে বলে খবর।
সোমবার রাত পর্যন্ত হিসেবে জলপাইগুড়ি জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪০২ জন। এখনও যাঁরা আক্রান্ত রয়েছেন তাঁদের বেশিরভাগই উপসর্গহীন বলে দাবি। উপসর্গযুক্তদের চিকিৎসার জন্যও আরও ৫টি ভেন্টিলেটর পেয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল। জেলা হাসপাতালে এখনও মোট ভেন্টিলেটরের সংখ্যা ৩৮। জলপাইগুড়িতে এখন ৩৩টি কোয়রান্টিন চলছে। তাতে রয়েছেন ২৩০ জন। জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে এখন ৮ জন রোগী রয়েছেন। উপসর্গহীন বাকি করোনা আক্রান্তদের রাখা হয়েছে রাজগঞ্জের সেফ হোমে। এ দিনও স্বাস্থ্য দফতর থেকে শহরের বাজারগুলির হাল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। জেলা সদরের বাজারগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন এবং জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দ্রুত বৈঠকও হতে পারে বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy