Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

নিয়োগ হয়েছে, ‘মেমো’র দাবি শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের

নতুন গঠিত স্কুলগুলির একাংশে শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ডিরেক্টরেট অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (ডিএসই)-এর ‘পোস্ট স্যাংশন মেমো’ ছাড়াই অন্তত ৪২ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:০৪
Share: Save:

নতুন গঠিত স্কুলগুলির একাংশে শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ডিরেক্টরেট অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (ডিএসই)-এর ‘পোস্ট স্যাংশন মেমো’ ছাড়াই অন্তত ৪২ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।

২০০৯ সালে শিলিগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় ১৪টি নতুন জুনিয়র হাই স্কুল চালুর সময় ওই নিয়োগ হয়েছে বলে শিক্ষকদের দাবি। ওই মেমো না থাকলে পরবর্তী সময়ে পেনশন-সহ অন্য সুযোগ সুবিধা থেকে শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীরা বঞ্চিত হবেন বলে তাঁরা শঙ্কিত। স্কুল পরিদর্শকের অফিস অনুমদিত পদেই যে হেতু নিয়োগ হয়েছে, তাই ওই শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীদের ওই নির্দিষ্ট ‘মেমো’ দেওয়ার দাবি তুলেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল তৃণমূল সেকেন্ডারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন।

শুক্রবার তাঁরা স্কুল পরিদর্শকের দফতরে ওই দাবিতে স্মারকলিপি দেন। শিলিগুড়ির স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) প্রাণগোবিন্দ সরকার বলেন, ‘‘আমি সে সময়ে দায়িত্বে ছিলাম না। যে শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীদের জন্য ডিএসই থেকে মেমো অনুমোদন হয়নি, তাঁদের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অার্জি জানানো হবে।’’

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুপ্রকাশ রায় জানান, ওই ১৪টি স্কুলে ৩ জন করে শিক্ষক এবং ১ জন করে শিক্ষাকর্মী নিয়োগের কথা। কিন্তু সেই সময় স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে প্রতি স্কুলের জন্য ৫ জন করে শিক্ষক এবং ২ জন করে শিক্ষা-কর্মী নিয়োগ হবে বলে ডিরেক্টরেট অব সেকেন্ডারি এডুকেশন-এ নথি পাঠানো হয়। সেই ভিত্তিতে নিয়োগও হয়। কিন্তু দেওয়া হয়নি ‘পোস্ট স্যাংশন মেমো’।

অন্য দিকে অবসরের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পুনর্নিয়োগ সাময়িক ভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এ দিন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্ম বিরতি পালন করেন অল বেঙ্গল কলেজ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (ওযেবকুটা) এবং অল বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের শিক্ষকেরা। ওই দুই সংগঠনের সদস্য সঞ্জয় রায় বলেন, ‘‘পুনর্নিয়োগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এ দিন আমাদের সদস্যরা কোনও ক্লাস নেননি বা কাজ করেননি।’’

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার তথা ডেপুটি রেজিস্ট্রার স্বপন রক্ষিত বলেন, ‘‘ওই শিক্ষক সংগঠনগুলি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের কিছু জানায়নি। স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম এ দিন চলেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

post sanction memo Recruitment
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE