খাবারের জোগান। নিজস্ব চিত্র
অবসরে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দেন। সে সময় তাঁদের কাছে হাত পেতে কেউ বলেন, ‘‘সারাদিন কিছু খাইনি।’’ কেউ বা জানান, অসুস্থ স্বামী অভুক্ত রয়েছেন। এমন সব দুঃস্থ মানুষদের খাবারের ব্যবস্থা করতে বছর কুড়ির ওই যুবকেরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে রবিবার হরিশ্চন্দ্রপুরে চালু করলেন ‘রোটি ব্যাঙ্ক’।
মাস দুয়েক আগেই দুঃস্থদের সাহায্য করার পরিকল্পনা করেন তনুজ জৈন, সাহেব দাস, মহম্মদ শামিম, দুর্জয় দাস, কৌশিক সিংহ, সঞ্জীব রজক, সোনু ভাস্করেরা। এঁদের কেউ ব্যবসায়ী, কেউ ছাত্র, কেউ বেকার। তাঁরা একজোট হয়ে গড়ে তোলেন ‘ইয়ং বয়েজ গ্রুপ’। রবিবার তাঁদের উদ্যোগে শুরু হল ‘রোটি ব্যাঙ্ক’ প্রকল্প। হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতাল রোডে ‘রোটি ব্যাঙ্ক’-এর নিজস্ব ক্যান্টিনের উদ্বোধনে এ দিন হাজির ছিলেন বিধায়ক মোস্তাক আলম, তৃণমূল নেতা সৌমিত্র রায়, সিপিএম নেতা জামিল ফিরদৌস। প্রথম দিনে রুটি, তরকারি তুলে দেওয়া হয় তিরিশ জন দুঃস্থ বাসিন্দার হাতে।
ওই দলের সদস্যরা জানান, তাঁরা নিজেদের টাকায় তহবিল তৈরি করেছেন। এলাকার বাসিন্দাদের থেকে খাবার ও দান সংগ্রহ করা হবে। ক্যান্টিনে পালা করে থাকবেন দু’জন। অন্য দু’জন এলাকায় ঘুরে ঘুরে খাবার সংগ্রহ করে আনবেন। বাসিন্দাদের থেকে সাহায্যের আশ্বাস মিলেছে।
বিধায়ক মোস্তাক আলমের কথায়, ‘‘এই বয়সের ছেলেদের কাছে এটা সাহসী শুধু নয়, দুঃসাহসী পদক্ষেপ। এঁরা মানুষের কল্যাণের কথা ভেবে পরিশ্রম করতে উদ্যোগী হয়েছেন। এঁদের পাশে আছি।’’ তৃণমূল নেতা সৌমিত্র রায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে এঁদের উদ্যোগের কথা বলব।’’ সংস্থার তরফে তনুজ জৈন বলেন, ‘‘জামসেদপুর থেকে ফেরার পথে এক সহযাত্রীকে পাই। তিনি ওখানে ‘রোটি ব্যাঙ্ক’ চালান। সেই কথা বন্ধুদের জানাতে সবাই উদ্যোগ নেয়। এর পরে দুঃস্থদের অন্য ক্ষেত্রে সাহায্যের জন্য তহবিল গড়ার ইচ্ছে রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy