Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

‘টক্কর’ জারি প্রথম দিনে

নতুন বছরের প্রথম দিনেও পিছু ছাড়ল না বিতর্ক। পয়লা জানুয়ারি, দলের প্রতিষ্ঠা দিবসেও কোচবিহারে যুব-মূল তৃণমূলের টক্করের অভিযোগ উঠল তৃণমূলে। দুই পক্ষের দুই নেতা তো বটেই, অন্য নেতারাও দিনভর ঘুরে বেড়ালেন এক অনুষ্ঠান থেকে আরেক অনুষ্ঠানে। দলীয় কর্মসূচির সঙ্গে চলল সরকারি অনুষ্ঠানের উদ্বোধনও।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:১৯
Share: Save:

নতুন বছরের প্রথম দিনেও পিছু ছাড়ল না বিতর্ক। পয়লা জানুয়ারি, দলের প্রতিষ্ঠা দিবসেও কোচবিহারে যুব-মূল তৃণমূলের টক্করের অভিযোগ উঠল তৃণমূলে। দুই পক্ষের দুই নেতা তো বটেই, অন্য নেতারাও দিনভর ঘুরে বেড়ালেন এক অনুষ্ঠান থেকে আরেক অনুষ্ঠানে। দলীয় কর্মসূচির সঙ্গে চলল সরকারি অনুষ্ঠানের উদ্বোধনও।

এ দিন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সকাল থেকেই ‘মাঠে’ নামেন। জেলা অফিসে পতাকা উত্তোলনের সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশ লাইনে মহিলা কনস্টেবলদের জন্য সাড়ে ৭ কোটি টাকার নির্মীয়মাণ ব্যারাকের কাজেরও সূচনা করেন। সেখানেই পুলিশ ‘ওয়্যারলেস’ ভবনের সংস্কার কাজের সূচনা করেন। এ দিনই কোচবিহার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রেরও উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। এ দিন তিনি টাকাগছ ও ডাউয়াগুড়িতে দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে আয়োজিত অনুষ্ঠানেও যোগ দেন।

যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়ও একাধিক অনুষ্ঠানে যান। তিনি জেলা পার্টি অফিসে প্রতিষ্ঠা দিবসের শ্রদ্ধা জানানোর সঙ্গেই টাপুরহাটে সাংসদ কোটার টাকায় রাস্তার কাজের উদ্বোধন করেন তিনি। দিনহাটাতেও একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এই দুই নেতার বাইরেও এ দিন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ, বিধায়ক উদয়ন গুহ, মিহির গোস্বামী-সহ প্রায় সবাইকে ‘ময়দানে’ দেখা গিয়েছে। আগামী ৮ জানুয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার প্রচারও এ দিন জোরকদমে চলেছে। দলীয় সূত্রের খবর, যুব ও মূল তৃণমূলের দ্বন্দ্বে দীর্ঘসময় ধরে কোচবিহারে দু’পক্ষের বিরোধ চলছে। তা নিয়ে একাধিক সংঘর্ষ হয়েছে, প্রাণও গিয়েছে বলে অভিযোগ। এরই মধ্যে আগামী ৮ জানুয়ারি কোচবিহার রাসমেলার মাঠে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ঘিরে সেই দ্বন্দ্ব আরও মাথাচাড়া দিয়েছে বলে অভিযোগ। আলাদা আলাদা ভাবে মিটিং-মিছিল দেখা গিয়েছে। এক পক্ষ অন্য পক্ষের পোস্টার ছিড়ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

দল সূত্রে খবর, একাধিক এলাকায় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সবাই যাতে ৮ জানুয়ারি রাসমেলার মাঠে হাজির হন সেই আবেদনও রাখছেন নেতারা। এই অবস্থার মধ্যে বলরামপুরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। এক তৃণমূল সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছে। যদিও তা নিয়ে কেউ মুখ খুলতে চাননি। দলেরই এক জেলা নেতার কথায়, “দলে এবং প্রশাসনে কার ক্ষমতা কতটা বেশি তা দেখানো এখন খুব প্রয়োজন মনে করছেন অনেকে। তাই আলাদা আলাদা ভাবে প্রায় প্রতিদিন অনুষ্ঠান রাখাছেন কেউ না কেউ। এ দিন সেই মাত্রা অনেক বেশি ছিল।”

দুই নেতাই অবশ্য প্রতিযোগিতার কথা মানেননি। রবীন্দ্রনাথবাবু অবশ্য বলেন, “দলের প্রতিষ্ঠা দিবস ও নতুন বছরে সাধারণ মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। সারা বছর ধরেই আমাদের সরকার কাজের মধ্যে থাকে। এ দিনই নানা কাজের উদ্বোধন হয়েছে। এখানে প্রতিযোগিতার কোনও ব্যাপার নেই।” পার্থবাবুও বলেন, “আজ গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন। তাই নানা অনুষ্ঠান ছিল। সব জায়গায় পৌঁছনোর চেষ্টা করেছি। এখানে টক্করের কোনও ব্যাপার নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Clash
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE