Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

গণপ্রহারে প্রশ্ন পুলিশের ভূমিকায়

গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে শহরবাসীর একাংশ। রাজনৈতিক দলের নেতা থেকে মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা এই প্রশ্ন তুলেছেন।

মার: বুধবার দুই মহিলাকে মারধর। —নিজস্ব চিত্র।

মার: বুধবার দুই মহিলাকে মারধর। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:১৮
Share: Save:

এক তরুণীর ব্যাগ ছিনতাইয়ের অভিযোগে শিলিগুড়ি শহরের কেন্দ্রে বিধানমার্কেটের সামনে দুই মহিলাকে গণপ্রহারের অভিযোগ উঠল। বিদ্যুৎ স্তম্ভে বেঁধে বাঁশ দিয়ে তাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের চুল কাটারও চেষ্টা হয়। পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে শহরবাসীর একাংশ। রাজনৈতিক দলের নেতা থেকে মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা এই প্রশ্ন তুলেছেন। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর নান্টু পাল বলেছেন, ‘‘আইন কারও হাতে তোলা উচিত নয়। পুলিশের সব তদন্ত করে দেখা দরকার।’’ তেমনিই, মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআরের জেলা সম্পাদক অভিরঞ্জন ভাদুড়ি বলেছেন, ‘‘পুলিশ গণপ্রহারের কোনও মামলা কেন করল না স্পষ্ট নয়। আসলে পুলিশ বিষয়টিকে হালকা করে দেখাতে চাইছে।’’

গত বুধবার যে তরুণীর ব্যাগ ছিনতাই হয়েছিল তাঁর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হলেও ছিনতাইয়ের চেষ্টার বদলে চুরির মামলা দায়ের হয়েছে। তেমনই, মারধর বা গণপ্রহারের কোনও মামলাও হয়নি। অন্যদিকে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদনও জানায়নি পুলিশ। কমিশনারেটের অফিসারেরা জানিয়েছেন, প্রকাশ্যে কোনও অভিযুক্তকে গণপ্রহার করা হলে একটি মারধরের মামলা রুজু হয়। তা তদন্তে পর্যায়ে রাখা হয়। মারধরের ঘটনার জড়িত কাউকে পাওয়া গেলে বা না পাওয়া গেলে তা আদালতে জানিয়ে দেওয়া হয়। গণপ্রহারের শিকার কারও শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আদালতে তদন্তকারী অফিসারকেই সমস্যায় পড়তে হয়। এ ক্ষেত্রে মার খেয়েছেন দুই মহিলা। পানিট্যাঙ্কি ফাঁড়ির পুলিশ কেন গণপ্রহারের মামলা করেনি তা পরিষ্কার নয়।

পুলিশ কমিশনার সুনীলকুমার চৌধুরী বলেছেন, ‘‘হাতেনাতে দুই অভিযুক্তকে বাসিন্দারা ধরেন বলে শুনেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তারা গ্রেফতার হয়েছেন। পাল্টা মারধর ছাড়া কী হয়েছে, তা তদন্ত করে নিশ্চয়ই দেখা হবে।’’ ধৃত পিঙ্কি বেদে এবং কামন্দা বেদেকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lynching Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE