মালদহের আমের বাজার বালুরঘাটে। নিজস্ব চিত্র
ভাগাড়-কাণ্ডের রেশ এখনও মোছেনি। বাঙালির সাধের পাত থেকে বাদ কচি পাঁঠা, খাসির মাংস আর ব্রয়লার মুরগি। তার উপর নিপা ভাইরাসের আতঙ্কে কোপ পড়েছে আম-লিচুতেও। তাহলে খাবেন কি জামাইরা! ভেবে আকুল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাঁদের ভরসা এখন মাছ, কিংবা দেশি মুরগির পদ।
কিন্তু তাতে কি আর বিপদমুক্ত হতে পারছে ছা-পোষা শ্বশুরকুল! সুযোগ বুঝে এখন মাছ, দেশি মুরগির দরও দ্বিগুণ হাঁকাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। রবিবার মালদহের বিভিন্ন বাজারে ইলিশ, পাবদা, গলদা চিংড়ি, পমফ্রেট বা ভেটকির মতো মাছের দাম আকাশছোঁয়া। দু’দিনের মাথায় জামাইষষ্ঠী। সেদিন এই দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে বাজারের থলে নিয়ে বেরিয়ে জামাইকে কী খাওয়াবেন তা ভেবে কুল পাচ্ছেন না গৃহস্থেরা।
নিপা ভাইরাসের আতঙ্কে মালদহের আম-লিচুর বিক্রিতেও মন্দা। জামাইষষ্ঠীর মুখে লিচু বিকোচ্ছে মাত্র ৩৫ টাকা দরে। পাইকারি বাজারে হিমসাগর, গোপালভোগ, ল্যাংড়া আম মাত্র ১২ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরো বাজারে সেই আম বিকোচ্ছে কেজি প্রতি ২০ টাকায়। তাও ক্রেতা মিলছে না বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
তবে এই সঙ্কটে মাছের দাম আকাশছোঁয়া। এদিন ইংরেজবাজারের পাইকারি বাজারেই ইলিশ ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের দাম কিলোপ্রতি ৮০০ টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা। গলদা চিংড়ি ৮৫০ টাকা কেজি। রুই-কাতলা বিকোচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিতে। মাছের দামের সঙ্গে টেক্কা দিচ্ছে দেশি মুরগিও। বিক্রি হচ্ছে কিলো প্রতি ৪০০ টাকায়। মাছ ব্যবসায়ীদের দাবি, জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় মাছ আনার খরচ বেড়েছে। তাই জামাইষষ্ঠীর বাজারে একটু দাম বেড়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy