উচ্ছ্বাস: প্রথম দিনেই জমজমাট সিনেমা হল। কোচবিহারে। নিজস্ব চিত্র
পর্দায় ‘ভাইজান’। মাতোয়ার ভক্তরা। তবে সলমন খানের নতুন ছবি দেখতে এসে কোচবিহারে ভক্তরা কেবল উদ্বেলই নন, সচেতনও। তাই তাঁরা বার্তা দিতে চাইলেন সম্প্রীতির। তারই রেশ থাকল ‘রেস থ্রি’-র মুক্তির দিনে।
রাজু মিয়াঁ, ঋত্বিক হোসেন থেকে সুমন ভটাচার্য, তুহিনাংশু সরকার— প্রত্যেকেরই এ দিন গন্তব্য ছিল ‘রেস থ্রি’। এঁদের কেউ সলমন খান ফ্যান ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত, কেউ শাহরুখ কিংবা অক্ষয়। কিন্তু প্রত্যেকের বক্তব্যেই ছিল একটাই সুর, ‘‘নিছক ছবি দেখা নয় ইদের উৎসবের মুখে সম্প্রীতির বার্তাও দিতে চাই আমরা।’’
প্রিয় নায়কের পোস্টারের সামনে উচ্ছ্বাস হোক বা ব্যান্ডের বাজনা। সবের কেন্দ্রবিন্দুতেই ছিলেন ‘ভাইজান’। ইদের আমেজে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে প্রিয় নায়কের ছবি। কয়েকদিন আগে থেকেই কোচবিহারের বিভিন্ন হলে সলমন ভক্তদের ভিড় ছিল টিকিট সংগ্রহে। শুক্রবার সেই উচ্ছ্বাস বাঁধ ভাঙে।
অভিনয় হোক বা কাহিনী। সবকিছুতেই তৃপ্ত দর্শকরা। এ দিন প্রত্যেকের গলাতেই ছিল প্রশংসার সুর। সলমন খান ফ্যান ক্লাবের সদস্য রাজু মিঁয়া, ঋত্বিক হোসেনরা বললেন, “আমাদের সঙ্গে শাহরুখ, অক্ষয় ফ্যান ক্লাবের সদস্যরা যোগ দেওয়ায় বাড়তি উদ্দীপনা ছিল। ইদের আবহে এ এক অন্য সম্প্রীতির আমেজ।” সলমন ভক্ত অভিরূপ ভট্টাচার্য, অভিষেক দে কিংবা কলেজ ছাত্রী সুনন্দা দাসরাও একই সঙ্গে ছবিটি দেখেন। উচ্ছ্বসিত গলায় অভিরূপ বলেন, “একটা সম্প্রীতির উৎসবের চেহারা নিয়েছিল এ দিনের ছবি দেখার সময়টা।”
সুনন্দা জানিয়েছেন, সলমনের ছবি মুক্তির দিন প্রথম শো দেখা তাঁর বরাবরের নেশা। সেই টানে এ দিনও তিনি এসেছিন।
অক্ষয় কুমার ফ্যান ক্লাবের সদস্য তুহিনাংশু সরকার, শাহরুখ খান ফ্যান ক্লাবের সদস্য সুমন ভট্টাচার্যরাও সবার এমন মেলবন্ধনে অভিভূত। দু’জনেই বলছেন, ‘‘সত্যি এ এক অন্য অনুভূতি। প্রত্যেকে প্রত্যেকের উৎসবে সামিল হওয়ার তাগিদও এ দিন একসঙ্গে ছবি দেখতে যাওয়ার অন্যতম বড় কারণ। সেটা দারুণভাবে সার্থক হয়েছে।’’ শহরের সিনেমা হল সূত্রেরও খবর, প্রথম দিনেই ছবিটিতে ভাল সাড়া মিলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy