‘কে-ইয়ান’: শ্রীকৃষ্ণপুর হাইস্কুলে অঙ্কের ‘স্মার্ট ক্লাস’ চলছে। নিজস্ব চিত্র
স্কুলে আর চিরাচরিত চক-ডাস্টার, ব্ল্যাকবোর্ডের দেখা মিলবে না। সেই জায়গা নিতে চলেছে ‘জ্ঞান-যান’—যার পোশাকি নাম ‘কে–ইয়ান’ (‘নলেজ ইয়ান’)। ইতিমধ্যে উত্তর দিনাজপুর জেলার ৪১টি স্কুলকে এই স্মার্ট ক্লাস প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। পরে ধাপে ধাপে অন্য স্কুলেও তা চালু হবে।
শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার, অত্যাধুনিক প্রজেক্টর, প্রিন্টার, ম্যাজিক পেন, ডিভিডি প্লেয়ার ও অডিও সিস্টেমের মতো বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রকে এক সঙ্গে মিলিয়ে ‘কে ইয়ান’ মডেল তেরি করেছে মুম্বই আইআইটি। প্রতি ক্লাসের ‘অটো রেকর্ডিং’ করা হবে। আগের দিন যিনি যা পড়িয়েছেন, পরের দিন তিনি অনুপস্থিত থাকলেও যাতে রেকর্ডিং দেখেই অন্য শিক্ষক তা বুঝে পরের ক্লাস নিতে পারেন। সে জন্য শিক্ষকদেরও হচ্ছে প্রশিক্ষণ।
জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের কাছে ক্লাসরুমের পঠনপাঠন আরও আকর্ষণীয় ও মনোগ্রাহী করে তুলতেই উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতর।’’
ইসলামপুরের শ্রীকৃষ্ণপুর হাইস্কুলের মতো প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলে এ দিন অডিও-ভিস্যুয়াল স্মার্ট ক্লাস নিচ্ছিলেন অঙ্ক শিক্ষক বাবুলাল মৈত্র। তিনি বললেন, ‘‘সিলেবাসের পড়াকে চোখের সামনে তুলে ধরতে পারলে পড়ুয়াদের কাছে তা সহজ হয়ে যায়।’’
জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘কে-ইয়ান’ যন্ত্রটি বড় রেডিয়োর মতো দেখতে। আসলে এটি অত্যাধুনিক কমিউনিটি কম্পিউটার। তার জন্য প্রজেক্টরের বা ই-স্ক্রিন প্রয়োজন নেই। স্কুলের দেওয়ালই হবে বোর্ড। জেলা স্কুল সূত্রের খবর উত্তর দিনাজপুরে মাধ্যমিকে পাশের হার সন্তোষজনক নয়। স্মার্ট ক্লাসের মাধ্যমে সেই হার বাড়ানোর চেষ্টা করছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy