ফাঁকা: চার স্বাস্থ্যকর্মীর পজ়িটিভ রিপোর্ট আসতেই শনিবার সুনসান ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। নিজস্ব চিত্র
শনিবার ময়নাগুড়িতে আরও ৭ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক লাকি দেওয়ান এ দিন জানান, আক্রান্তেরা সকলেই ময়নাগুড়ির বৌলবাড়ি নীলকান্ত পাল হাইস্কুলের সরকারি কোয়রান্টিনে ছিলেন। বাইরের রাজ্য থেকে ফিরে এসেছিলেন তাঁরা। ১৪ দিন পার হয়ে যাওয়ায় গত ৩ জুন কোয়রান্টিন কেন্দ্র থেকে ৭ জনকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ২৮ মে তাঁদের লালারস সংগ্রহ করা হয়েছিল। শনিবার তাঁদের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। তাঁদের সকলকেই জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা অন্যদের খোঁজেও তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে জানান ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক।
এদিকে, ময়নাগুড়ির ৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এছাড়া একজন নার্সিং পড়ুয়ারও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। ব্লকে এ পর্যন্ত ১৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে দু'জন সুস্থ হয়েছেন বলে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।
শুক্রবার আরও ৪ জন স্বাস্থ্যকর্মীর সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই চারজন স্বাস্থ্য কর্মী ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের বহির্বিভাগ সংলগ্ন এলাকায় যাতায়াত করতেন।
শনিবার সকাল থেকেই হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, স্যানিটাইজ় করার জন্য বহির্বিভাগের ঘর বন্ধ করা হয়েছে। তবে জরুরি বিভাগ সংলগ্ন একটি ঘরে আপাতত বহির্বিভাগের পরিষেবা চালু রাখা হয়েছে।
আক্রান্ত চারজন স্বাস্থ্যকর্মীর সংস্পর্শে আসা অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানান ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। আক্রান্তদের মধ্যে একজন নার্সিং স্টাফও রয়েছেন । এ দিন ওই নার্সিং স্টাফের বাড়ির সদস্যদের লালারস সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের লালারসও সংগ্রহ করা হয়েছে। মোট ৫০ জনের লালারস সংগ্রহ করা হয়েছে এ দিন।
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক লাকি জানান, সংগৃহীত লালারস উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের সামনের দু'টি দোকানও এদিন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই দুই দোকানে আক্রান্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের যাতায়াত ছিল বলে স্বাস্থ্য দফতর জানতে পেরেছে।
ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিবম রায় বসুনিয়া জানান, আক্রান্ত নার্সিংস্টাফের বাড়ি ময়নাগুড়ির দেবীনগরে। ওই এলাকার ৩৫টি বাড়িকে নিয়ে কন্টেনমেন্ট জ়োন তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়াও ময়নাগুড়ি বাজারের যে দু'টি হোটেলে আক্রান্ত স্বাস্থ্য কর্মীরা ছিলেন, ওই দু'ই হোটেলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy