ক্ষয়ক্ষতি: এমনি অবস্থা হয়েছে পুণ্ডিবাড়িতে। নিজস্ব চিত্র
কারও বাড়ি ভেঙে পড়েছে। কোথাও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। সারি সারি গাছও ভেঙে রাস্তার উপরেই। মঙ্গলবার রাতে মাত্র পনেরো মিনিটের ঝড়ে এমন ভাবেই লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে কোচবিহারের পুন্ডিবাড়ির চৈতন্যহাট গ্রাম।
ঝড় নিয়ে কারও তেমন আশঙ্কা ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতের দিকে বৃষ্টি হচ্ছিল। রাত একটু গভীর হলে বাতাস বইতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যে প্রবল বেগে আসা বাতাস সব লণ্ডভন্ড করে দেয়। ঘুম থেকে জেগে ওঠে বাসিন্দারা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেন। কেউ কেউ ঘরের ভিতরে খাটের তলায় লুকিয়ে পড়েন। তার মধ্যেই একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়ে। বড় বড় গাছ ভেঙে পড়ে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় অন্ধকার হয়ে যায় চারদিক। প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রায় ৫০ টি বাড়ি এবং কমপক্ষে ২০০টি গাছ ভেঙে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে চাষেরও। ওই এলাকার বাসিন্দা নীহাররঞ্জন সরকার বলেন, “কিভাবে যে রাত কাটিয়েছি বলে বোঝাতে পারব না। একসময় মনে হয়েছিল গোটা গ্রাম ধবংসস্তূপে পরিণত হবে। বেঁচে গেলেও আমাদের সব শেষ হয়ে গিয়েছে।”
বাসিন্দাদের দাবি, সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা হবে। এই অবস্থায় যাদের ঘর ভেঙে পড়েছে তাঁরা অস্থায়ী ভাবে থাকার ব্যবস্থা করেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও ত্রিপল দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ মৌসম সেবা কেন্দ্রের নোডাল অফিসার শুভেন্দু বন্দ্যোপাধায় বলেন, “এই সময় ঝড় আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা। বৃষ্টিপাতের ক্ষেত্রেও তেমন দেখা গিয়েছে অনেক জায়গায়।” কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহা বলেন, “ওই গ্রামের দিকে ব্লকের আধিকারিকরা গিয়েছেন। কারও যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। ’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy