অসুস্থ শিশুরা। নিজস্ব চিত্র
বিষাক্ত গাছের ফল খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হল তিন ভাইবোন। রবিবার রাতে গাজল থানার দেওতলা পঞ্চায়েতের বানিয়াপাড়া গ্রামের ঘটনা। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া ওই তিন ভাইবোনকে মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে তাদের ওই হাসপাতালের মাদার চাইল্ড হাব মাতৃমা-তে রেখে চিকিৎসা চলছে।
পরিবার সূত্রের খবর, রবিবার বাড়ির সামনে খেলতে খেলতে সম্ভবত ভেরেন্ডা গাছের ফল খেয়ে ফেলেছিল ওই তিন জন। তার পরেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, রাত থেকেই বিশেষ নজরে রেখে চিকিৎসা চলছে ওই তিনজনের। এখনও তিন জনের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটমুক্ত নয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ছ’বছরের প্রীতি হেমব্রম ও জয়দীপ হেমব্রম এবং তাদের সাত বছর বয়সী মামাতো ভাই অভিষেক কিস্কু দেওতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী। পরিবারের এক সদস্য জানান, রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে খেলছিল ওরা। খেলতে খেলতে ভেরেন্ডা গাছের ফল খাওয়ার পরই তাদের মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোতে থাকে। কিছু ক্ষণের মধ্যে তিন জনই অচেতন হয়ে পড়ে। পরিবারের লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে গাজল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে সঙ্গে সঙ্গে তাদের মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়।
অসুস্থ শিশুদের এক আত্মীয় বিমল সোরেন বলেন, ‘‘প্রথমে আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি। পরে একজনের হাতে ফল দেখে বুঝতে পারি যে, ওরা রাস্তার পাশে ভেরেন্ডার ফল পেড়ে খাওয়ায় বিষক্রিয়া হয়েছে। প্রথমে আমরা গাজল হাসপাতালে নিয়ে যাই। তারপর দ্রুত ওদের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এখনও বিপদ কাটেনি ওদের। প্রচণ্ড দুশ্চিন্তায় রয়েছি।’’ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার জ্যোতিষচন্দ্র দাস বলেন, ‘‘ভেরেন্ডা ফল কিছুটা বিষাক্ত ঠিকই। কিন্তু অল্প মাত্রায় খেয়ে ফেললে জীবনহানির সম্ভাবনা নেই। শরীরে নেশাচ্ছন্ন ভাব হয়। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বের হয়। তবে বেশি খেলে বিপদ হতে পারে। ওই শিশুদের চিকিৎসা চলছে। আশা করি, ওরা দ্রুত বিপন্মুক্ত হয়ে উঠবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy