Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Phansidewa Bridge

নিস্তার নেই ছোটরও

এতদিন বড় সেতু  ভেঙেছে, ছোট সেতু নিয়ে হয়তো তেমন মাথা ঘামায়নি কেউ। কিন্তু শুক্রবার সকালে ফাঁসিদেওয়ার মানগছের সেতু ভেঙে পড়ার পরে এখন ছোট সেতুও আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাসিন্দাদের কাছে।

বিপর্যয়: ট্রাক নিয়ে নদীতে ভেঙে পড়ল মানগছ সেতু। শুক্রবার। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

বিপর্যয়: ট্রাক নিয়ে নদীতে ভেঙে পড়ল মানগছ সেতু। শুক্রবার। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

স্নেহাশিস সরকার
ফাঁসিদেওয়া শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:০৭
Share: Save:

এতদিন বড় সেতু ভেঙেছে, ছোট সেতু নিয়ে হয়তো তেমন মাথা ঘামায়নি কেউ। কিন্তু শুক্রবার সকালে ফাঁসিদেওয়ার মানগছের সেতু ভেঙে পড়ার পরে এখন ছোট সেতুও আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাসিন্দাদের কাছে। সেতুটি যে দুর্বল হয়ে পড়েছিল, তা এলাকার বাসিন্দারা থেকে শুরু করে নেতা-আধিকারিকেরাও জানতেন। তারপরেও কেন তা সারানো হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় মানুষ।

পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রের খবর, সেতুটি দুর্বল হওয়ার পরে সেখান দিয়ে ভারী গাড়ি চলাচল করা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়। তার নোটিস টাঙানো হয় বলে দাবি। কিন্তু তা চুরি হয়ে যায়। কিন্তু উঁচু গাড়ি যাতে যেতে না পারে সে জন্য উপরে ব্যারিকেড দেওয়া হয়নি। যা কি না পঞ্চায়েত সমিতির করার কথা। সেটা কেন হয়নি?

সমিতির সভাপতির দাবি, মহকুমা পরিষদ বরাদ্দ দেয়নি বলে কাজ করা যায়নি। কয়েকটা নোটিস বোর্ড, ব্যারিকেডের টাকাও কেন জোগাড় হয় না, সেটাই বুঝতে পারছেন না লাগোয়া ১১টি গ্রামের অনেকে। কয়েকজন জানান, সারা বছর সমিতি এলাকায় গেট, মণ্ডপ আর খাওয়ায় যা খরচ হয়, তার অল্প হলেই সেতুতে ভারী গাড়ি রুখতে নোটিস দেওয়া যেত।

সাতসকালে সেতু ভেঙে পড়ায় কিভাবে চটহাটের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে, তা ভেবেই পাচ্ছেন না বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম গোয়ালগছ, মানগছ এলাকার বাসিন্দারা। একই অবস্থা নিগরগছের বাসিন্দাদের। সেখানেও সেতু ভেঙে পড়ার আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। মানগছ ও নিগরগছের সেতু দুটি একই সময়ে করা হয় বলে স্থানীয় ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এ দিন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী তথা দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গৌতম দেব এ দিন মানগছ সেতুর পাশাপাশি নিগরগছে গিয়েও সেতুর হাল খতিয়ে দেখেন। মন্ত্রী বলেন, ‘‘মহকুমা পরিষদের গাফিলতির নজির এই সেতুগুলি। শীঘ্রই এই সমস্ত সেতুর সংস্কারের ব্যবস্থা করব।’’ শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অতিরিক্ত কার্যনির্বাহী আধিকারিক প্রেমকুমার বরদেওয়া বলেন, ‘‘কী কারণে মানগছের সেতুটি ভেঙে পড়েছে তা আমরা তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করব। আগে তা ভাঙার কারণ বলে যাচ্ছে না।’’

এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ জমিরুদ্দিন বলেন, ‘‘সেতু না থাকায় অনেকটা ঘুরপথে যেতে হবে।’’ বিশেষ করে গ্রাম পঞ্চায়েতে এবং হাটে যেতে হলে খুব সমস্যা হবে। কেউ অসুস্থ হলে ঘুরপথে মেডিক্যাল যেতে হবে।’’ ফাঁসিদেওয়ার বিডিও প্রণয় কুমার মজুমদার বলেন, ‘‘সীমান্ত এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় ওই সেতু একই সময়ে তৈরি হয়েছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE