ভেঙে পড়েছে ব্রিজ।
ঘোষপুকুর থেকে ভোরেই ট্রাকে ইট বোঝাই হয়েছিল। সকাল সাতটা নাগাদ আমি পাঁচ জনকে নিয়ে মানগছের দিকে রওনা হই। সাতটায় ওখানেই ইট খালি করার কথা ছিল, কিন্তু এ দিন দেরি হয়ে যায়। পিছলা নদী পেরিয়েই মানগছ। সকালে সেতুর উপরে একজন পাট শুকোতে দিচ্ছিলেন। সেতুটি কম চওড়া হওয়ায় তিনি সেতুর পাশে গিয়ে দাঁড়ান। সেতুর মুখে কোনও সতর্কতামূলক পোস্টারও ছিল না। ৩ হাজার ইট ছিল গাড়িতে, গাড়ি নিয়ে মোট ওজন ছিল ৯টন।
সকাল পৌনে আটটা নাগাদ সেতুর উপরে যখন উঠছিলাম, তখন অভ্যেস মতো গাড়ির গতি কমিয়ে দিয়েছিলাম। হঠাৎ লক্ষ্য করি সেতু দিয়ে গাড়ি এগোচ্ছে না। এরপরই সেতুটি আস্তে আস্তে বসতে শুরু করে। গাড়ির পিছনে যারা ছিলেন, তাঁরা আতঙ্কে গাড়ি থেকে লাফিয়ে পড়েন। আমি কী করব বুঝতে পারছিলাম না। শক্ত হাতে গাড়ির স্টিয়ারিং ধরেই বসেছিলাম। এরপর হালকা ঝটকা দিয়েই সেতুর মাঝখানটা গাড়ি সহ বসে যায়। গাড়ির চেসিসও দুমড়ে গিয়েছে। তখন কোনওমতে গাড়ি থেকে নেমে সেতুর বাইরে গিয়ে দম ফেলি। এই ঘটনার পরে আমার আতঙ্ক যেন কিছুতেই কাটছে না। পরে ক্রেনের সাহায্যে কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় গাড়ি তোলা হয়।
আরও পড়ুন: ভাগের পাঁচ সেতুরই কি এ বার গঙ্গাপ্রাপ্তি!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy