জলপাইগুড়ি টাউন ক্লাব ময়দানে চলছে ফাইনাল। ছবি :সন্দীপ পাল।
জিতল শিলিগুড়ি। হারলো জলপাইগুড়ি। রবিবার রায়কতপাড়া ইয়ং অ্যাসিসিয়েশন পরিচালিত দিব্যেন্দু বসু মেমোরিয়াল চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জিতল শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা ফুটবল ক্লাব(কেএফসি)। রানার্স আপ অমিয়বন্ধু ধর ট্রফি পেল মিলন সঙ্ঘ। এ দিন ফাইনাল খেলায় কেএফসি ১-০ গোলে মিলন সঙ্ঘকে হারিয়ে দেয়। জয়সূচক গোলটি করেন আমির লামা।
কলকাতার দুই প্রধানের ছোটদের দল জলপাইগুড়িতে আসলেও তাদের মুখোমুখি দেখতে পারেনি জলপাইগুড়ির ফুটবল প্রেমিকরা। সেই দুঃখ মনে নিয়েই এ দিন সেই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে হাজির ছিল প্রচুর দর্শক। দুই শহরের দু’টি দলের খেলা দেখতে টাউন ক্লাব মাঠের দু’টি স্টেডিয়াম পূর্ণ ছিল।
কেএফসি শিলিগুড়ির দাগাপুর এলাকার দল। পাহাড় এবং ডুয়ার্সের খেলোয়াড়দের নিয়ে গঠিত। নিয়মিত অনুশীলন করে বিভিন্ন ফুটবল প্রতিযোগিতায় খেলে বেড়ায়। প্রতিপক্ষ জলপাইগুড়ির মিলন সঙ্ঘ এখন জলপাইগুড়ির অন্যতম নামী দল। গত মাসে জলপাইগুড়ির জেলা ক্রীড়া সংস্থা পরিচালিত নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতায় তারা চ্যাম্পিয়ন হয়। এই প্রতিযোগিতায় তারা ছ’জন আফ্রিকান এবং দু’জন কলকাতার প্রথম ডিভিশন লিগের খেলোয়াড়কে খেলিয়েছে।
এ দিনের পুরো খেলাটি ছিল সাধারণ মানের। মিলন সঙ্ঘের খেলোয়াড়রা আক্রমণ করার চেষ্টা করলেও তাঁরা সফল হননি। কেএফসি প্রথমার্ধে দু’টি সুযোগ পায়। প্রথমার্ধের ৩০ মিনিটের সময় কেএফসির রাইট আউট বিদুর ছেত্রী ডানদিক থেকে বল নিয়ে মিলন সঙ্ঘের বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েও বল বাইরে মারেন। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে কেএফসি একটি ফ্রিকিক পেলেও ২২ গজ দূর থেকে রিকদেন তামাং গোলে শট রাখলেও বলটি পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর দশ মিনিটের মাথায় একক প্রচেষ্টায় কেএফসির রাইট আউট বিদুর ছেত্রী বল নিয়ে মিলন সঙ্ঘের গোলের দিকে আক্রমণে যান। তাঁকে পাশ থেকে তাড়া করে মিলন সঙ্ঘের মনোদীপ। বক্সের মধ্যে এসে পাস দিলে কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা আমির লামা গোলে শট নেয়। জালে জড়িয়ে যায় বল। কেএফসি এগিয়ে যায় এক গোলে।
দ্বিতীয়ার্ধের ২৯ মিনিটের সময় কেএফসির আরও একটি সুবর্ণ সুযোগ আসে। কেএফসির রাজ সুব্বার একটি শট বারে লেগে ফিরে আসলে অভিষেক দর্জি ফিরতি বলে আবার শট মারেন। তারপরেও কেএফসি-র সমর্থকদের হতাশ করে বল বারে লেগে ফিরে আসে। এছাড়া খেলায় তেমন কোনও সুযোগ তৈরি হয়নি। মিলন সঙ্ঘের সমস্ত আক্রমণ কেএফসির পেনাল্টি বক্সের মধ্যেই থেমে যায়।
এ দিনের খেলা শুরুর আগে দশ মিনিটের জন্য মাঠে আসেন ভাইচুং ভুটিয়া। তিনি খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিত হয়ে চলে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy