প্রতীকী ছবি
শিলিগুড়িতে আরও ছয় জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পরল। জেলাপ্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন (সারি) কেন্দ্রে ভর্তি ছিলেন। এই প্রথম সারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সংক্রমণ মিলল। তাতে উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি এক প্রসূতির শরীরে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। তিনি নকশালবাড়ি ব্লকের আপার বাগডোগরার বাসিন্দা। শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় কোভিড হাসপাতালের এক ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানের শরীরেও সংক্রমণ মিলেছে। তিনি ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে থাকেন। এ ছাড়া ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক শিশুর শরীরেও সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। সম্প্রতি ওই শিশুর পরিবার আর একটি পরিবারের সঙ্গে মুম্বইয়ে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিল। অন্য ওই পরিবারের এক মহিলারও ক’দিন আগে সংক্রমণ ধরা পড়ে। শিলিগুড়ির কদমতলা বিএসএফের দফতরের এক ব্যক্তির শরীরে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। জেলাশাসক এস পুন্নমবলম বলেন, ‘‘সমস্ত ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’
এ দিন নতুন করোনা রোগীদের নিয়ে দার্জিলিং জেলা এবং শিলিগুড়ি পুর এলাকা মিলিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩২ জন। শিলিগুড়িতে শহর এবং মহকুমা এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিতে পুরসভা, প্রশাসন, স্বাস্থ্য দফতর চিন্তিত।
সারি কেন্দ্রে ভর্তি থাকা নকশালবাড়ির ১৬ বছরের এক কিশোর আক্রান্ত হয়েছে। সে মাছের কারবার করে। দিন কয়েক আগে উপসর্গ নিয়ে তাকে সারি কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। ২৮ মে তার লালারস সংগ্রহ করা হয়েছিল। মাছ বাজার আপাতত বন্ধ রাখার কথা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা পরিবারের ৬ জনকে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। যে টোটোতে করে ওই কিশোর সারি হাসপাতালে গিয়েছিল সেই ব্যক্তিকেও কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। কোথা থেকে ওই কিশোর সংক্রমিত হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। স্বাস্থ্য দফতর তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে। সারিতে থাকা আক্রান্ত অপর ব্যক্তি ফাঁসিদেওয়ার কালুজোতের বাসিন্দা। তিনি পুনেতে কাজ করতেন। সম্প্রতি তিনি ফেরেন বলে শিলিগুড়ির মহকুমাপরিষদের সদস্য আইনুল হক জানান। স্থানীয়দের দাবি, ওই ব্যক্তির সঙ্গে ৭ জন ফিরেছিল। বাকিদের খোঁজ করা হচ্ছে।
কদমতলা বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের যিনি আক্রান্ত হয়েছেন তিনি বিএসএফের এই কেন্দ্রের কোয়রান্টিন সেন্টারের দায়িত্বে ছিলেন। ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা জওয়ানরা ক্যাম্পাসে কোয়রান্টিন সেন্টারে নির্দিষ্ট সময় থেকে তারপরে কাজে যোগ দেন। ওই জওয়ানদের সংস্পর্শে এসেই তাঁর সংক্রমণ ঘটেছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি ওই ব্যক্তির কাশি হওয়ায় নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। আক্রান্ত ওই অফিসারকে সেনাবাহিনীর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রেখেই চিকিৎসা করা হচ্ছে। কেন্দ্রের ৪০ জনকে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে।
এ দিন শিলিগুড়িতে কোভিডের চিকিৎসার পরিকাঠামো বৃদ্ধির দাবি করেন সাংসদ রাজু বিস্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy