গত এক মাস ধরে দফায় দফায় বৃষ্টির জেরে রায়গঞ্জের নাগর সেতুতে ওঠার মুখের রাস্তার দু’ধারের বিভিন্ন এলাকার মাটি ধসে গিয়েছে। তৈরি হয়েছে ৩০-৪০ ফুট গর্ত। যে কোনও সময়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই গর্তে যান পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন চালক ও যাত্রীরা।
তাঁদের অভিযোগ, ৩৪ নম্বর নাগর নদীর উপরে জাতীয় সড়কে ওই সেতুটির প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে স্থায়ী মেরামত হয়নি। দুর্ঘটনা রুখতে কিছু দিন আগে পুলিশ সেতুতে ওঠার মুখের রাস্তার দু’ধারের গর্তের পাশে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের মালদহ ডিভিশনের টেকনিক্যাল ম্যানেজার রাজু কুমারের দাবি, জাতীয় সড়কের উপরের বেশির ভাগ সেতু ঠিক রয়েছে। কোথাও বেহাল বা দুর্বল সেতু থাকলে মেরামত করা হবে।
নাগর সেতুর উপর দিয়ে প্রতিদিন উত্তরপূর্ব ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে দক্ষিণবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে লক্ষাধিক যানবাহন চলাচল করে। প্রায় দেড়মাস আগে শিলিগুড়ি থেকে রায়গঞ্জগামী একটি ছোটগাড়ি ওই সেতু থেকে নদীতে পড়ে যাওয়ায় চালকের মৃত্যু হয়। চালক ও যাত্রীদের অভিযোগ, গত একমাস ধরে দফায় দফায় বৃষ্টির জেরে প্রতিদিনই ওই সেতুতে ওঠার মুখের রাস্তার দু’ধারের বিভিন্ন এলাকায় মাটি ধসে যাচ্ছে।
পুলিশের তরফে দেওয়া বাঁশের ব্যারিকেডও ভাঙতে শুরু করেছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, প্রায় তিন দশক আগে সেতুটি গড়ে উঠেছে। সেতুটির স্তম্ভ, রেলিং, কাঠামো ও রাস্তার বিভিন্ন অংশে ফাটল ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্লাবন প্রামাণিকের দাবি, ‘‘সেতুটিতে ওঠার মুখের রাস্তার দু’ধারের বিভিন্ন এলাকার মাটি ধসে ৩০-৪০ ফুট গর্তে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যে কোনও সময়ে বিভিন্ন যান সেই গর্তে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। স্থায়ী মেরামতির অভাবে সেতুটিও দুর্বল হয়ে পড়েছে। দ্রুত স্থায়ী মেরামত দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy