Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

কানে বার্তা, হাতে পড়ছে শব্দবাজি

কালীপুজো কাছে আসতেই এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ঠিক এ ভাবেই জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকায় শব্দবাজি বিক্রি শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ৷

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৭ ০২:০৭
Share: Save:

দোকানে গিয়ে প্রথমে খোঁজ করতে হবে আতসবাজির৷ দোকানদার আতসবাজি দেখানোর সময় বিড়বিড় করে তাঁর কান পর্যন্ত পৌঁছে দিতে হবে শব্দবাজির কথা৷ বাজারদরের থেকে যে একটু বেশি দাম দিতে অসুবিধা নেই, দোকানদারকে জানিয়ে দিতে হবে সেই বার্তাও৷ তাহলেই কাজ শেষ৷ দোকানদার আতস বাজি দেওয়ার মাঝে খদ্দেরকে মেপে নিয়ে যদি বুঝে যান- কোন ঝুঁকি নেই, তাহলে সেই ব্যক্তি ওই দোকান থেকেই পেয়ে যাবেন শব্দবাজি৷

কালীপুজো কাছে আসতেই এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ঠিক এ ভাবেই জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকায় শব্দবাজি বিক্রি শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ৷ ওই দোকানগুলিতে আতস বাজি সাজানো থাকলেও তার আড়ালেই শুরু হয়ে গিয়েছে দেদারে শব্দবাজির বিক্রি৷ নিষিদ্ধ শব্দবাজির বিক্রি রুখতে জেলার সমস্ত থানাকেই কড়া ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন জেলার পুলিশ কর্তারা৷ চলছে ধর-পাকড়ও৷ কিন্তু তারপরও জেলায় শব্দবাজির বিক্রি কমানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ৷

খোদ বাজি ব্যবসায়ীদের সূত্রের খবর, প্রতি বছর কালীপুজোর আগে একদল যুবক সক্রিয় হয়ে ওঠে৷ যাদের পোশাকি নাম লাইনম্যান৷ এই লাইনম্যানেরাই মূলত এখানকার কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের থেকে বরাত নিয়ে কলকাতা ও হাওড়া থেকে শব্দবাজি এনে তাঁদের সরবরাহ করেন৷ এ বছরও ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন তারা৷ আর তাঁদের মাধ্যমেই বাজার ভরছে নিষিদ্ধ শব্দবাজিতে৷

খোদ বাজি ব্যবসায়ীদের একাংশেরই অভিযোগ, জেলার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি মুনাফার জন্যই শব্দবাজি বিক্রি করছেন৷ আর তাঁদের কাজের জন্য বদনাম কুড়োতে হচ্ছে অন্য বাজি ব্যবসায়ীদেরকেও৷ ওই ব্যবসায়ীদের কথায়, ‘‘এমন অনেক মানুষই রয়েছেন, যাঁরা শব্দবাজির জন্য বেশি টাকা দিতেও রাজি৷ অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের কাছে দু’গুণ-তিনগুণ বেশি দামে ওই শব্দবাজি বিক্রি করছেন৷’’

যদিও জেলার পুলিশ কর্তাদের দাবি, শব্দবাজির বিক্রি রুখতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে৷ বুধবার ধূপগুড়ি বাজারে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকা নিষিদ্ধ শব্দবাজি আটক করা হয়েছে৷ ধরা হয়েছে এক ব্যবসায়ীকেও৷ কিছুদিন আগে পৃথক পৃথক ভাবে অভিযান চালিয়ে জলপাইগুড়ি শহর থেকেই কোতোয়ালি থানার পুলিশ ও ডিইবি নিষিদ্ধ শব্দবাজি আটক করেছে৷

জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘শব্দবাজির বিক্রি রুখতে সবসময়েই পুলিশের অভিযান চলছে৷ আশা করি, এ বছর অনেকটাই শব্দবাজির দাপট কমানো সম্ভব হবে৷’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sound Crackers Jalpaiguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE