আবৃত: বৃষ্টি থেকে বাঁচতে। দিনহাটায়। ছবি: সুমন মণ্ডল
পৃথিবীর তাপমাত্রা একটু একটু করে বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে বিশ্ব উষ্ণায়নের বিপদ। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। উন্নয়নের নামে নির্বিচারে কাটা হচ্ছে গাছও। এই অবস্থায় প্রকৃতির রোষ থেকে বাঁচতে দেবী দুর্গারই দ্বারস্থ হতে চাইছে ফালাকাটার কলেজপাড়া সর্বজনীন পুজো কমিটি। তাদের এবারের থিম ‘বিশ্ব উষ্ণায়ন’।
এখানে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে বিশাল গোল পৃথিবীর আকারে। উষ্ণায়ন বোঝাতে পৃথিবীর ঠিক উপরে থাকবে আগুনের আভা। সেই আভায় কীভাবে মেরুপ্রদেশের বরফ গলে জল হচ্ছে তা-ই তুলে ধরা হবে রঙের কারসাজিতে। নীচ দিয়েই রয়েছে মণ্ডপে প্রবেশের রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে ভিতরে গেলেই পাল্টে যাবে পৃথিবীর উষ্ণায়নের ছবিটা। তার বদলে দেখা যাবে এক বিশাল স্বচ্ছ আকাশ। যে আকাশ জুড়ে শুধুই জ্বলজ্বল করবে হাজারো গ্রহ নক্ষত্র। আর আবহে বাজবে পরিবেশরক্ষার বার্তা। আর তারপরই অন্ধকার ঘুচিয়ে মণ্ডপে দেখা দেবেন দেবী দুর্গা। পুজো কমিটির সদস্য স্নেহাংশুশেখর বিশ্বাস বলেন, ‘‘এখানে দেবী ক্ষমাসুন্দর। তাঁর হাতে অস্ত্রের বদলে থাকবে ফুল। দেবীর ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টির মধ্যেই লুকিয়ে থাকবে প্রকৃতির ধ্বংস নিবারণের প্রয়াস। যার থেকে মানুষের মধ্যে তৈরি হবে সচেতনতা।’’
গোটা থিমকে বাস্তব রূপ দিচ্ছেন কলকাতার শিল্পী রমেন মাইতি। তিনি জানান, লোহার কাঠামোর ওপর প্যারাসুটের কাপড় দিয়ে তৈরি হচ্ছে গ্লোব। ব্যবহার হবে রঙ ও প্লাস্টার অব প্যারিস। উদ্যোক্তারা জানান, থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই কৃষ্ণনগরের শিল্পীরা গড়ছেন দেবী দুর্গার প্রতিমা। দুর্গা প্রতিমা ছাড়াও তৈরি হচ্ছে একটি ধ্যানমগ্ন বুদ্ধের মূর্তি। বুদ্ধের কোলে থাকবে এক শিশু। পৃথিবীকে ‘শিশুর বাসযোগ্য’ করে তোলার আকুতি তুলে ধরা হবে ওই মডেলের মাধ্যমে।
মণ্ডপের ভিতরে আলো-ছায়ার পরিবেশ তৈরি করছেন কলকাতার শিল্পী দীপঙ্কর । এ ছাড়াও মণ্ডপে ঢোকার আগে রাস্তার দু’ধারে থাকবে নবদ্বীপের আলো। ক্লাব ও পুজো কমিটির সম্পাদক শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘গর্ব করে বলি আমাদের পুজো জেলার অন্যতম সেরা পুজো। বহু পুরস্কার রয়েছে আমাদের ঝুলিতে। এ বারও সমস্ত বিষয় এমনভাবে তুলে ধরা হবে যে, দর্শকেরা আকৃষ্ট না হয়ে পারবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy