—ফাইল চিত্র।
এমনিতে বোঝার উপায় নেই। কারণ, সরাসরি কেউ কিছুই বলছেন না। কিন্তু শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর সন্ধে থেকেই একটা নীরব ‘পরিবর্তন’ দেখা গেল। দলের কয়েকজন নেতা নিজেদের ফেসবুকে ‘দাদা’র ছবি দিলেন। এটা কি অদূরেই বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত? স্বাভাবিক ভাবেই কেউ জবাব দেননি। কিন্তু চাপা গুঞ্জন একটা শুরু হয়েছে এরই মধ্যে।
ফেসবুকেই এরপর পক্ষে-বিপক্ষে দলেরই অনেকে নানা মন্তব্য করেছেন। তবে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতার কথায়, একেবারেই গুঞ্জন নয়। যা শোনা যাচ্ছে, সেটাই হতে চলেছে। শিলিগুড়ির অন্তত ৩ জন তৃণমূল কাউন্সিলর খুব শীঘ্রই শুভেন্দুর হাত ধরতে চলেছেন। এমনকি, বাম কাউন্সিলরদেরও কয়েকজন তালিকায় আছেন।
এমনিতেই শুভেন্দু মন্ত্রিত্ব ছাড়তেই জেলায় জেলায় উৎসাহী অনুগামীরা। ছটপুজোর আগে থেকেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় শুভেন্দুর ছবি সম্বলিত পোস্টার পড়েছিল। সেই অনুগামীদের একাংশই জেলা তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতাদের ঘনিষ্ঠ বলে দলেরই একটি সূত্রের দাবি। দিনদুয়েক আগে পাহাড়েও শুভেন্দুর হোর্ডিং পড়েছে। কাল থেকেই শহর জুড়ে গুঞ্জন, তৃণমূলের ও বামেদের কয়েকজন কাউন্সিলর তথা অর্ডিনেটর শুভেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ওই সূত্রের দাবি, শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগ দেওয়া সময়ের অপেক্ষা। তিনি যোগ দিলেই আরও অনেকে শুভেন্দু-সঙ্গ নেবেন।
সামনে বিধানসভা ভোট ছাড়াও শিলিগুড়ি পুরভোট। গত পুর নির্বাচনেই বিজেপি অনেক আসনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল। শেষ লোকসভা ভোটে পুরসভার একটি ওয়ার্ড ছাড়া সব ওয়ার্ডেই বিজেপি এগিয়েছে। তাই পরিস্থিতি বুঝে অনেকেই বিজেপির দিকে ঝুঁকতে পারেন বলে তৃণমূল ও বামেদের একাংশের আশঙ্কা। যদিও মুখে কেউই সেটা স্বীকার করছেন না। শুভেন্দু অনুগামী এক নেতা যিনি ফেসবুকে শুক্রবার শুভেন্দুর ছবি দিয়েছেন, তাঁর কথায়, ‘‘অনেকেই যোগাযোগ করছেন। কাউন্সিলর তথা কোঅর্ডিটেনরদের কয়েকজন যোগাযোগ করেছেন।’’
তৃণমূলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘এ নিয়ে কী চলছে আমার জানা নেই। আমাদের কোনও কোঅর্ডিনেটর দল ছাড়বে এমন কিছু ঘটেনি।’’ সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক তথা জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক জীবেশ সরকার এ দিন বলেন, ‘‘আমাদের কেউ দল ছাড়ছেন না এটা বলতে পারি। ’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy