Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

সাবেক ছিটমহলে ব্যবসায় পাশে থাকবে সরকার

ছিটমহল বিনিময়ের তিন বছর কেটে গিয়েছে। এখনও হাজারো সমস্যার অভিযোগ নিয়ে মাঝেমধ্যেই সরব হন সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দারা।

বৈঠক: বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনায় প্রশাসন। নিজস্ব চিত্র

বৈঠক: বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনায় প্রশাসন। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০২:১১
Share: Save:

দু’সপ্তাহ আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহার সফরে এসে সাবেক ছিটমহলের সংস্কার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কেন এখনও সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দারা জমির অধিকার পাননি, তা নিয়ে ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকদের তিরস্কারও করেন তিনি। তিনি ফিরে যেতেই সাবেক ছিটমহলের কাজ নিয়ে তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছে কোচবিহার জেলা প্রশাসন। সোমবার সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদের নিয়ে কোচবিহার ল্যান্সডাউন হলে বৈঠকে বসে প্রশাসন। সেখানে ওই বাসিন্দাদের সরকারের নানা প্রকল্প নিয়ে তাঁদের অবহিত করা হয়। স্বনির্ভর হতে কেউ যদি কৃষি, মাছ বা কোনও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হতে চায় সেক্ষেত্রে সরকার ও প্রশাসন তাঁদের পাশে থাকবে বলে জানানো হয়। সেখানে ‘আনন্দধারা’ থেকে শুরু করে সমস্তক্ষেত্রের প্রকল্প তুলে ধরা হয়।

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “সরকারের নানা প্রকল্প রয়েছে। যা চাষ থেকে শুরু করে ছোট ব্যবসা সব ক্ষেত্রেই কাজে লাগে। সাবেক ছিটমহলের সমস্ত বাসিন্দাদের সামনে সে সব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। যারা যে বিষয়ে আগ্রহী তাঁদের সেই বিষয়ে সাহায্য করার কথা জানানো হয়েছে।” কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহা জানান, সরকারের নানা প্রকল্প থেকে ঋণ পেতে পারেন বাসিন্দারা। সেক্ষেত্রে সরকারের ছাড় রয়েছে। এ ছাড়া কৃষিক্ষেত্রে কোনও যন্ত্রপাতি কিনতে গেলেও সরকারি সাহায্য দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “সরকারি সমস্ত প্রকল্পগুলিই এদিন তুলে ধরা হয়। অনেকেই তা নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই কৃষির সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা যাতে চাষের ক্ষেত্রে আরও সুবিধে পেতে পারেন তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।”

ছিটমহল বিনিময়ের তিন বছর কেটে গিয়েছে। এখনও হাজারো সমস্যার অভিযোগ নিয়ে মাঝেমধ্যেই সরব হন সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দারা। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী জমির অধিকার পাইয়ে দিতে অর্ডিন্যান্স জারি করার নির্দেশ দেন। এখনও অবশ্য জমির অধিকার বাসিন্দারা পাননি। প্রশাসন জানিয়েছে, জমির বিষয়ে প্রক্রিয়া চলছে। পোয়াতুরকুঠির বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন বলেন, “স্বনির্ভর হতে বিভিন্ন চাষের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।” বাত্রীগছের বাসিন্দা রৌশন আলি বলেন, “আরও আগে এই প্রকল্প জানতে পারলে ভালো হত। চাকরির সুযোগও দেওয়া উচিত।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Chitmahal ছিটমহল
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE