Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

উঠে গেল আন্দোলন

রাতে কলেজে ফিরে বৈঠকে বসেন তারা। বৈঠক শেষে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শুভাশিস চন্দ্র জানান, ‘‘তদন্ত কমিটির ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তাই আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করছি। সোমবার থেকে কলেজ স্বাভাবিক হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৮ ০২:৫৬
Share: Save:

আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিল জলপাইগুড়ি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্ররা। রবিবার তদন্ত কমিটির তদন্ত চলাকালীনই একবার আন্দোলন তোলার কথা বলেছিলেন তারা।

কিন্তু আন্দোলনের বিপক্ষে থাকা এক দল ছাত্র তদন্ত কমিটির সঙ্গে দেখা করতেই সুর বদলাতে শুরু করেন তারা। জানিয়ে দেন, আন্দোলন তুলবেন কিনা তা নিয়ে ফের নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসবেন।

রাতে কলেজে ফিরে বৈঠকে বসেন তারা। বৈঠক শেষে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শুভাশিস চন্দ্র জানান, ‘‘তদন্ত কমিটির ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তাই আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করছি। সোমবার থেকে কলেজ স্বাভাবিক হবে।

রবিবার এক টানা ছয় ঘণ্টা ধরে তদন্ত চলে। কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি কলেজ কর্তৃপক্ষও আশা প্রকাশ করলেন, সোমবার থেকেই স্বাভাবিক হচ্ছে জলপাইগুড়ির সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ৷

গত ১৫ মার্চ জলপাইগুড়ি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে গোলমাল শুরু হয়৷ ওই গোলমালের রেশ ধরে অধ্যাপক দীপক কুমার কোলের বদলি দাবি করে পরের দিন থেকে ধর্মঘট করে কলেজ অচল করে দেন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্ররা৷ পরবর্তীতে তাতে সামিল হন তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের ছাত্ররাও৷

কিন্তু এরপরই প্রথম বর্ষের কিছু ছাত্র অভিযোগ করেন, তাঁরা র‌্যাগিং-এর শিকার এবং দীপকবাবু রোখার চেষ্টা করেছিলেন জন্যই তার বদলির দাবিতে এই আন্দোলন৷ প্রথম বর্ষের এক ছাত্রর অভিযোগের ভিত্তিতে ২৪জন সিনিয়ার ছাত্র নামে র‌্যাগিং-এর মামলা রুজু হয়৷

পাশাপাশি কলেজের সম্পত্তি নষ্ট ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়৷

কিন্তু তারপরও আন্দোলন চলতে থাকায় উচ্চ শিক্ষা দফতরের কারিগরী বিভাগ গোটা পরিস্থিতি নিয়ে পাঁচ জনের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে৷ যে কমিটির প্রধান করা হয় পঞ্চানন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়কে৷

কমিটিতে কারিগরি বিভাগের শীর্ষ কর্তা ও জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদেরও রাখা হয়৷ রবিবার জলপাইগুড়িতে আসেন কমিটির সদস্যরা৷

দুপুর তিনটে থেকে শুরু হয় তদন্তের কাজ৷ সার্কিট হাউজে আলাদা আলাদা করে প্রতি বর্ষের ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেন কমিটির সদস্যরা৷ কথা বলেন, আন্দোলনের বিপক্ষে থাকা একদল ছাত্রর সঙ্গেও৷

সেই সঙ্গে রাগিং-এর অভিযোগ দায়ের করা ছাত্র ও তার অভিভাবেকের পাশাপাশি অধ্যাপকদের সঙ্গেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE