অব্যবস্থা: এ ভাবেই খোলা মাঠে চলে মিড-ডে মিল খাওয়া। তপনের একটি স্কুলে। নিজস্ব চিত্র
খাবার খাওয়ার জায়গার অভাবে স্কুলের বারান্দা, মাঠ বা রাস্তাই ভরসা খুদে পড়ুয়াদের। অনেক স্কুলে কুকুর বা গরু-ছাগলের সঙ্গেই খোলা আকাশের নীচে বসে পড়ুয়ারা মিড-ডে মিল খেতে বাধ্য হয় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভও ছড়াচ্ছে। এই অবস্থায় দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রাথমিক এবং হাইস্কুলগুলোয় ডাইনিং হল তৈরির প্রশাসনিক উদ্যোগ শুরু হয়েছে। ডাইনিং হলে টেবিলে বসেই মিড-ডে মিল খাবে পড়ুয়ারা।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার খাওয়ার ফলে কচিকাঁচাদের মধ্যে রোগ জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা থেকে যায়। পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত পরিবেশে পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল খাওয়া তুলে দিতেই স্কুলগুলোয় ডাইনিং হল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা স্কুল পরিদর্শক নারায়ণ সরকার। তিনি বলেন, ‘‘জেলা মিড-ডে মিল দফতর এবং বিডিওর মাধ্যমে প্রকল্প রূপায়ণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ডাইনিং হল তৈরি বাবদ প্রাথমিকে ৫ লক্ষ এবং হাইস্কুলগুলোকে ৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।’’
দক্ষিণ দিনাজপুরে ১১৮৪টা প্রাথমিক স্কুল এবং ৩৫০টা হাইস্কুল রয়েছে। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশ স্কুলেই মিড-ডে মিল খাওয়ার জন্য আলাদা কোনও জায়গা নেই বলে অভিযোগ। কিছু স্কুল নিজেদের উদ্যোগে পড়ুয়াদের খাওয়ার জন্য আলাদা ঘর তৈরি করলেও টেবিল পেতে ডাইনিং হলের ব্যবস্থা কোনও স্কুলেই প্রায় নেই। জেলার যে স্কুলগুলোয় ডাইনিং হল তৈরির মতো পরিকাঠামো রয়েছে এমন স্কুলগুলোকে ইতিমধ্যে বিবরণ দিয়ে সংশ্লিষ্ট অবর স্কুল পরিদর্শকের মাধ্যমে বিডিও অফিসে আবেদন করতে বলা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) মৃণাল বিশ্বাস বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল খাওয়ানোর লক্ষ্যে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে। সমস্ত স্কুলকে ওই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে স্কুলগুলোকে অবহিত করতে জেলার ব্লকগুলোর সংশ্লিষ্ট অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy